
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ জানুয়ারি, ২০২২, 2:26 PM

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে দেশের অর্থনীতি
করোনায় দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আবারো সচল কারখানার চাকা। উৎপাদনে এসেছে গতি, রপ্তানি বাজারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে আগের মতো। একই সাথে, চাঙ্গা হয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা আর সরবরাহ ব্যবস্থাও। সব মিলিয়ে, ইতিবাচক এক উত্তরণের পথে সার্বিক অর্থনীতি। যার প্রতিফলন, রাজস্ব, প্রবাসী আয়, অবকাঠামো বাস্তবায়নসহ নানা সূচকে। চলতি অর্থবছরের অর্ধেক পার হয়েছে এরই মধ্যে। এই সময়ের নানামুখী বিশ্লেষণে, সরকারও খানিকটা নির্ভার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার বিচারে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, বৈশ্বিক বাস্তবতা আমলে নিলে বাংলাদেশ মহামারী মোকাবেলায় তুলনামূলক বেশি সফল। যা অর্থবছর শেষে নিশ্চিত করবে, প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি। সিপিডি সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহির্খাতের একাধিক সূচক ছাড়াও, অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সরবরাহসহ সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রবণতা। ফলে, সরকারও হিসাব কষছে, লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি প্রবৃদ্ধির। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক পূর্বাভাস নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। যারা, এদেশের উন্নয়ন কাজসহ বহু প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ সহযোগী। যেমন, এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশর প্রবৃদ্ধি হতে পারে পৌনে সাত শতাংশের ওপরে। আর বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের প্রক্ষেপণ, সাড়ে ছয়ের ঘরে। এই হিসাব, বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধির ওপরে। যার অর্থ হলো, বহু দেশের চেয়ে করোনা পরবর্তী উত্তরণে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। যার মূল নিয়ামক, বহির্খাতের একাধিক সাফল্য। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দক্ষতার প্রচন্ড অভাব আমাদের। আরও কিছু খুঁটিনাটি বিষয় আছে সেগুলো সরকার দেখছে। আশা করি আমরা এই গতিটা ধরে রাখতে পারবো। লতি অর্থবছরের জন্য বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা আছে ৭ দশমিক দুই শতাংশ। অন্যদিকে, বেশ খানিকটা কমিয়ে, জাতিসংঘ প্রত্যাশা করছে, সেটি হতে পারে ৬-এর কাছাকাছি।-সূত্র: চ্যানেল২৪