ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মেডিক্যাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে পুলিশ ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ত্রাণের জন্য হাহাকার

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুন, ২০২২,  4:44 PM

news image

বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। তবে প্রধান নদী সুরমায় পানি কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। এদিকে, পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা ও উত্তআঞ্চলের কয়েকটি জেলায়। সিলেটে প্রধান নদীগুলোর পানি বিপদসীমার ওপরে থাকায় লোকালয় ও হাওর থেকে পানি নামছে না। ফলে এখনই ঘরে ফিরতে পারছেন না বানভাসিরা। ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকের। সুরমা ও সারি নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিলেটের সাথে গোয়াইনঘাট,

জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের আছিরখাল সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ। অন্যদিকে, কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অনেকেই।  বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামেও। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে। জেলার এক লাখ ৪১ হাজার মানুষ পানিবন্দী। ৩২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ। 

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বন্দি ও ভাঙ্গন কবলিতদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম, ঝিনাইসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। 

টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এরইমধ্যে জেলার এক লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। মানবেতর জীবনযাপন করছে বানভাসি মানুষ।

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের ৫টি উপজেলার অন্তত ১০০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়ছে কালনী, কুশিয়ারা নদীর আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ অংশের পানি।আশ্রয় কেন্দ্রে দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে লালমনিরহাটেও। তিস্তা, ধরলা, রত্নাইসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বগুড়ায় অপরিবর্তিত রয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি এখনো বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এদিকে, গেল কয়েকদিন কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে নেত্রকোনায়। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম