ঢাকা ১৯ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’ ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ ইসলামপুরে শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত প্রোটিয়াদের শিরোপা জিতিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে মার্করামের বড় লাফ মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার : উত্তর কোরিয়া

ইসলামী বইয়ের ওপর অন্য কিছু রাখা

#

১০ অক্টোবর, ২০২৪,  11:02 AM

news image

ইসলাম, ইসলামের প্রতীক ও ইসলামের প্রতিনিধিত্বকারী বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা ঈমানের দাবি। সে হিসেবে ইসলামী বই-পুস্তকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা মুসলমানের কর্তব্য। অবশ্য ইসলাম শুধু ধর্মীয় বই-পুস্তকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের শিক্ষা দেয় না, ইসলাম জ্ঞানার্জনের সব উপকরণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলে। মুসলমান জ্ঞানের কোনো উপকরণের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে না।

ইসলামী বই-পুস্তকের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি দিক হলো তার ওপর অন্য কিছু না রাখা। ফকিহ আলেমরা ইসলামী বই-পুস্তকে দুই ভাগে ভাগ করেন : 

(ক) কোরআন ও তার ব্যাখ্যাগ্রন্থ।

(খ) কোরআন ছাড়া অন্যান্য গ্রন্থ।

কোরআনের ওপর কিছু রাখা নিষিদ্ধ-

ইসলামী বই-পুস্তক একটির ওপর অন্যটি রাখলে কোনো অসুবিধা নেই। তবে কোরআনের ওপর অন্য কোনো বই, সেটা ইসলামী হলেও রাখা যাবে না। হাকিম তিরমিজি (রহ.) বলেন, ‘মুসহাফ কথা—কোরআনের মর্যাদা হলো তা খোলা না রাখা, তার ওপর অন্য কোনো বই না রাখা; যেন মুসহাফ সব সময় অন্য সব বইয়ের ওপর থাকে।’ (নাওয়াদিরুল উসুল : ৩/২৫৪)

কোরআন ছাড়া অন্য বই হলে-

কোরআন ছাড়া অন্য ইসলামী বই-পুস্তকের ওপর সাধারণ বই-পুস্তক রাখা মাকরুহ বা অনুচিত। একইভাবে ইসলামী বই-পুস্তকের ওপর অন্য কোনো জিনিসপত্র যেমন- পাত্র, পোশাক-আশাক, খাবারদাবার ইত্যাদি রাখাও ঠিক নয়। কেননা এসব বইয়ে কোরআনের আয়াত, হাদিস, আল্লাহর জিকির ও ইসলামী জ্ঞানের নানা আলোচনা আছে।

তাই ইসলামী বই সম্মানের দাবি রাখে। আল্লামা হাইতামি (রহ.) বলেন, হালিমি (রহ.)-এর মতো বাইহাকি (রহ.)-ও বলেছেন, উত্তম হচ্ছে মুসহাফের ওপর মুসহাফ ছাড়া অন্য কোনো কিতাব বা কাপড় না রাখা। হালিমি এর সঙ্গে আরো যুক্ত করেন হাদিসের গ্রন্থাবলিও। অর্থাৎ হাদিসের গ্রন্থাবলিও মুসহাফের ওপর রাখা যাবে না। (আল ফাতাওয়াল হাদিসিয়্যাহ, পৃষ্ঠা-১৬৪)।

কখনো কখনো এর বিধান হারামের পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে, যদি শরয়ি গ্রন্থাবলির প্রতি অবজ্ঞা ও অপমানস্বরূপ সেটা করা হয়।

ইবনুল মুফলিহ (রহ.) বলেন, ইবনে আবদুল কাভি (রহ.) তাঁর ‘মাজমাউল বাহরাইন’ বইয়ে লিখেছেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে মুসহাফের ওপর, হাদিসের কিতাবের ওপর কিংবা যেসব কিতাবে কিছু আয়াত আছে সেসব কিতাবের ওপর ঠেক দেওয়া হারাম।’ (আল আদাবুল শারইয়্যা : ২/৩৯৩)।

আল্লাহই সব বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম