
NL24 News
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, 3:57 PM

আশুলিয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর ২ শ্রমিক গুলিবিদ্ধ, আহত অন্তত ৩০
ওবায়দুর রহমান লিটনঃ আশুলিয়ায় বিক্ষোভের জেরে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ৫টি গাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। সোমবার সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর বাইপাইল সড়কের জিরাবো এলাকার মন্ডল গ্রুপের সামনে এই ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা জানায়, সকালে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের সাথে মালিকপক্ষ, শ্রমিক প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মিটিং চলছিল। এসময় সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে অন্যান্য কারখানার শ্রমিক সেখানে জড়ো হতে থাকে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে শ্রমিকরা র্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায়।
এসময় দুইজন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন, আশুলিয়ার ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান। তবে বাকি আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিকরা বলেন, সকালে আমাদের কারখানায় আমরা সবাই কাজ করছিলাম। আমাদের কারখানায় কোন ধরনের আন্দোলন হয় নি। তবে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকরা কারখানার সামনে আন্দোলন শুরু করলে আমাদের শ্রমিকরা সংহতি জানিয়ে মন্ডলের সামনে যায়।
সেখানে আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা যোগ দেয়। এসময় শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একপর্যায়ে গুলি ছুড়লে দুই জনের পায়ে গুলি লাগে। পরে আমরা তাদের দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এছাড়া প্রায় ৩০/৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন। পিএমকে হাসপাতালের অ্যডমিন ম্যানেজার নাজিম উদ্দিন বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৪ জন শ্রমিককে আহতবস্থায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের পায়ে গুলি লেগেছে। চিকিৎসা চলছে। ন্যাচরাল ডেনিম কারখানার এইচআর অ্যাডমিন সবুজ হাওলাদার বলেন, আমাদের কারখানায় কোন সমস্যা ছিলো না। সকাল থেকেই শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করছিলো। হঠাৎ শ্রমিকদের কাছে গুজব আসে, পাশের মন্ডল গার্মেন্টসের শ্রমিক মারা গেছে। এটা শুনেই সব শ্রমিক একসাথে কারখানা থেকে বেরিয়ে মন্ডল গার্মেন্টসের সামনে চলে যায়। পরে ওখানে কি ঘটেছে আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।