
নিজস্ব প্রতিনিধি
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 9:43 PM

আরপিএমপি'র সকল সদস্যের ১ দিনের বেতন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি', ২২) সকালে রংপুর পুলিশ লাইন্স হলরুমে আরপিএমপি’র সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মহোদয় এর সভাপত্বিত্তে, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রসাশন) মোঃ মহিদুল ইসলাম পিপিএম এর সঞ্চালনায় মাসিক কল্যান সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কল্যান সভায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যের বিদ্যমান সামগ্রিক সুবিধা অসুবিধা পর্যালোচনা পূর্বক পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। বিশেষভাবে হারাগাছ থানায় কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে নিহত এএসআই (নিঃ) মরহুম পেয়ারুল ইসলাম এর পরিবারের হাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্যের এক দিনের বেতন বাবদ মোট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ টাকা) প্রদান করা হয়। এ সময় মাননীয় পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আব্দুল আলীম মাহমুদ বিপিএম বলেন, এভাবে মরহুম পেয়ারুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমার সকল সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য নিজের দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে যেমন সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তেমনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে একদিনের বেতন দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি,সহকর্মীর যেকোনো বিপদে কিংবা দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতেও আমরা কুণ্ঠাবোধ করি না। উক্ত কল্যান সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন এর সম্মানিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ সকল উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ সকল সিনিয়র অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মরহুম পেয়ারুলের শিশু সন্তানসহ স্ত্রী ও ছোট ভাই। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাঝরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই পিয়ারুল সাহেবগঞ্জ এলাকায় পলাশ নামের এক মাদক সেবি ও মাদক বিক্রেতাকে গাঁজাসহ আটক করেন। এসময়ে মাদকসেবী পলাশ তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে এএসআই পিয়ারুলকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত পেয়ারুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের শিক্ষক মিন্টু মিয়ার ছেলে।