
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 2:34 PM

আমের মুকুলের ঘ্রাণে মুখরিত মীরসরাই
ঋতু রাজ বসন্ত আসার আগাম বার্তা নিয়ে আসে আম গাছের মুকুল। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি আমগাছ। ফাগুন হাওয়ায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। মীরসরাই উপজেলার প্রতিটি বাড়ি ও আমবাগান মুকুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে। প্রতি বছর বাড়চ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদ ুআমের চাষ। মৌ মৌ গন্ধে আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত মীরসরাইয়ের প্রকৃতি। বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুুর পাড়ে ও রাস্তার পাশে আমগাছে মুকুলে মৌ মৌ গন্ধ। মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারিসারি আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল।
এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। আমের মুকুলের সেই পাগল করা ঘ্রাণ ও সুনশান নিরবতা ভেদ করে গাছে গাছে মধু সংগ্রহ করতে আসা মৌমাছিরা টানা গান গেয়ে যাচ্ছে। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলেভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আমগাছ গুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। উপজেলার জোরারগঞ্জে স্থানীয় এক বাগান মালিক নুরুল আলম জানান, সোনালী স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আমগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। মুকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলকে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করছেনতিনি। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মীরসরাই উপজেলা কৃষিসুপার ভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, মীরসরাইয়ে গত বছর থেকে ৫ হেক্টর বেড়ে প্রায় সব মিলে৯৬ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়। তবে উপজেলার ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর, করেরহাট, মুহুরীপ্রজেক্ট ও পাহাড়ি এলাকা আমেরআবাদ বেশি ফলন হয়। আমের ফলন বেশি বেশি পেতে হলে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে বলেও জানান তিনি।