ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

আজিমপুর মডেলে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ আগস্ট, ২০২২,  12:01 AM

news image

‘আমরা করবো জয়.. . একদিন’ যেন বুকের মধ্যে এই প্রত্যয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে ৫-১১ বছরের ছোট্ট সোনামনিরা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহনে স্বতস্ফূর্তভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র ছিল এমনই। বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে সরেজমিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে দেখা যায় যে, প্রাথমিকের শিশুরা সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে একের পর এক করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছে। লালবাগ থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ শেলিমা খাতুনের সার্বিক তদারকিতে এবং থানা রিসোর্স সেন্টার কর্মকর্তা নাজমা বিনতে কাদিরের শিশুদের প্রতি আন্তরিকতা ও মমতায় ওদের শিশু মনে টিকা নেওয়ার কোনো ভয়ই যেন কাজ করছে না। এক উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচী। এর আগে সকাল ৯ টায় এই বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচী উদ্বোধন করে দিয়ে যান প্রাথমিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, যা বিকাল ৩ টা পর্যন্ত একটানা চলে।

ঢাকার ২১ টি কেন্দ্রসহ সারাদেশের ১২ টি সিটিকর্পোরেশনের ৫৫ টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ডে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় শিশুদের টিকা দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা যায়।  সরকারি এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে গত ১১ আগষ্ট, বৃহস্পতিবার ঢাকার আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে পরিক্ষামূলক করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয় তারা সকলে ছিল দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর আগে ঐদিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক। করোনা প্রতিরোধে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরী ফাইজারের টিকা।  শিশুদের টিকার নিবন্ধন করতে হলে প্রথমে সরকারের সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (ংঁৎড়শশযধ.মড়া.নফ) যেতে হবে। এই অ্যাপের নিবন্ধন ফর্মের ঘরে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট অপশন রয়েছে। এখানে জন্ম নিবন্ধন নির্বাচন করে শিশুর ১৭ সংখ্যার জন্মসনদ নম্বর দিতে হবে। নম্বর দেওয়ার পর শিশুর সব তথ্য কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাবে। এই অংশে বর্তমান ঠিকানার ঘরে গিয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/সিটিকর্পোরেশন, ইউনিয়ন/পৌরসভা/থানা এবং ওয়ার্ডের ঘর পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বরও দিতে হবে। এরপর আসবে জন্ম নিবন্ধন সর্টিফিকেট দিয়ে নিবন্ধিত ৫-১৭ বছরের নাগরিকদের ‘নির্বাচিত টিকা কেন্দ্র’ ঘরটি। সব কেন্দ্র শিশুদের টিকার আওতায় না থাকায় নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে। টিকা কেন্দ্র নির্ধারনের পর ফরমটি সেইভ করলে নিবন্ধনে যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাঠানো হবে। সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’ বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হবে। নিবন্ধন শেষে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস. এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর জন্মসনদের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ-ইন করে এসএমএস. এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এসএমএস. এ যে তারিখ দেওয়া হবে, সেই তারিখে টিকা কার্ড ও জন্মসনদ নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধনকারী শিশুরা টিকা নিতে পারবে। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম