ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

আইস-ইয়াবা প্রবেশ রোধে সীমান্তে বসবে অত্যাধুনিক সেন্সর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  12:09 PM

news image

দেশে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ও ইয়াবা আসছে। এসব মাদকের প্রবেশ রোধে সীমান্তে অত্যাধুনিক সেন্সর ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথির পক্ষ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মনোনীতদের পদক তুলে দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো ড্রাগ প্রডিউসিং (মাদক উৎপাদন) কান্ট্রি নয়। কিন্তু তারপরেও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছি। পার্শ্ববর্তী দেশ যারা মাদক উৎপাদন করে তাদের সঙ্গে মন্ত্রী, ডিজি, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড পর্যায়ে আলোচনা করছি। কোস্ট গার্ডকে আরও শক্তিশালী করছি।

শক্তিশালী করার অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে মাদক রোধ একটি উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ভয়ংকর মাদক ইয়াবা ও আইস প্রবেশ রোধে সীমান্ত শক্তিশালী করছি। সীমান্তে সেন্সর লাগানোসহ কোস্ট গার্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। মাদককে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা রোধ করব। তিনি বলেন, ইয়াবা ও আইস ভয়ংকর ড্রাগ। এই ড্রাগ যারা সেবন করে তাদের শরীর ও মেধা নষ্ট হয়ে যায় এবং সমাজের জন্য সে বোঝা হয়ে যায়। এসব মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু কোস্ট গার্ড নয়, পুলিশ, বিজিবিসহ সবাই সতর্ক রয়েছে। ৪৭ হাজার কিলোমিটার আমাদের উপকূলীয় এলাকা। সীমান্তে একটি এলাকা মাদক নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী করছি কিন্তু অন্য এলাকা দিয়ে মাদক কারবারিরা মাদক আনার চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ইয়াবাকে উৎসাহ দেয় বলেই অহরহ দেশে আসছে। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোস্ট গার্ডে জনবল সংকট ছিল। কোস্ট গার্ডের আইনে রয়েছে এখানকার সবাই নৌবাহিনী থেকে নিয়োগ হবে, সেজন্য একটু সংকট আছে। তাই আমরা খুব শিগগির আইনের সংশোধন করছি। যাতে নিজস্ব জনবল নিয়োগের মাধ্যমে বাহিনীটি বিজিবির মতো নিজস্ব বাহিনীতে পরিণত হয়। পটুয়াখালীতে কোস্ট গার্ডের একটি ট্রেনিং একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জনবলকে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে কোস্ট গার্ডের বেসরকারি বিল এনেছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকাকালে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বাহিনীতে পরিণত হয়েছে কোস্ট গার্ড। ১৯টি জেলা উপকূলীয়, ৪৭ হাজার কিলোমিলার কোস্টাল এরিয়ার রক্ষাবেক্ষণ, নিরাপত্তা একটা দুরূহ কাজ। কোস্টগার্ড তৈরির আগে এগুলো ছিল অরক্ষিত। কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক (ডিজি) রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম