ঢাকা ২১ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

আইএমএফের ঋণের প্রভাব পড়বে বাজেটে

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ মে, ২০২৩,  2:09 PM

news image

বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ। আগামী ৪২ মাস ধরে ধাপে ধাপে এই ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করা হবে। প্রথম কিস্তি ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার ডলার এরইমধ্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে, এজন্য বাংলাদেশকে মেনে নিতে হয়েছে আইএমএফের ৩০টি শর্ত। আর এসব শর্ত বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যমতে, বাংলাদেশ যে এবারই প্রথম আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে তা নয়। ছোট-বড় আকার মিলিয়ে সংস্থাটি থেকে আগে মোট ১০ বার ঋণ নিয়েছে। প্রতিবারই কিছু শর্তের প্রেক্ষিতে ঋণ দেয় আইএমএফ। এবার আইএমএফ চায় বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব আদায় আরও বাড়াক, ভর্তুকি কমাক এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনুক। এমন নানা শর্ত আছে চুক্তির পেছনে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইএমএফের এসব শর্ত যুক্তিসঙ্গত। ভর্তুকি কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর নানা পথ তৈরি করতে হবে সরকারকে। তবে, রাজস্ব আদায়ের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। এতে ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, কর সংগ্রহের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। যদিও সেটি কমতে কমতে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে চলে এসেছে। আর কমানো যাবে না, এটাকে বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আইএমএফের শর্তগুলোকে আমি শর্ত মনে করি না, এগুলো প্রতিপালন করা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। তবে, আগামী বাজেটে রাজস্বের যে পরিকল্পনা করেছে সরকার তা বাস্তবসম্মত নয়। এতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা দেবে। এদিকে সরকার এরইমধ্যে জ্বালানিতে ভর্তুকি তুলে নিয়ে বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণের ওপর জোর দিচ্ছে। ভর্তুকি কমানোর শর্তের বেড়াজালে সরকার জ্বালানি খাত থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ।

তিনি বলেন, সরকার বলছে জ্বালানির দাম বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এখন তো বিশ্ব বাজারে দাম কমছে, তাহলে দেশে জ্বালানির দাম কমছে না কেন? অর্থাৎ, আইএমএফের শর্ত মানতে হলে ভর্তুকি কমাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ভর্তুকি আছে ততক্ষণ পর্যন্ত দাম কমাবে না সরকার। আর ভর্তুকি যখন থাকবে না তখন বিশ্ব বাজারের দাম কমলে দেশেও দাম কমাবে সরকার। এম এম আকাশ বলেন, আইএমএফ শর্তে ৩ বছরের মধ্যে ট্যাক্স জিডিপির হার বাড়ানোর যে কথা বলা হয়েছে, সেটা সম্ভব নয়। হিসেব অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে লাখো কোটি টাকা ট্যাক্স বাড়াতে হবে, না হলে রেশিও পূরণ হবে না। সরকার সবসময়ই বাজেটে রাজস্ব ঘাটতি ৫ শতাংশের আশপাশে রেখেছে। এ বছরও প্রস্তাবিত বাজেট ৫ দশমিক ২ শতাংশ আছে। এটা যথেষ্ট সংযত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম