
নিজস্ব প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 1:54 PM

অত্যাধুনিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন রাণীশংকৈলের কৃষকরা
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শ্রমিক সংকট মোকাবেলা এবং কৃষি কাজে খরচ কমাতে অত্যাধুনিক যান্ত্রিক পদ্ধতিতে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন কৃষকরা। উদ্ভুদ্ধ করণের মাধ্যমে সাড়ে ছয়শত কৃষককে নিয়ে শুরু হয়েছে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টর মেশিনের মাধ্যমে বোরো ধান রোপন রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টর মেশিন দিয়ে অল্প সময়ে অনেক বেশি জমিতে চারা রোপন করছেন তারা। কৃষিতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াতে, কম সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যের এ মেশিনটি ধান উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রথম বারের মত উদ্ভুদ্ধ করণের মাধ্যমে ষোলোটি ব্লকে পনেরোশো বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করছেন রানিসংকৈল উপজেলার কৃষকরা। রাণীশংকৈল উপজেলার জওগা গ্রামের কৃষক জামিরুল ইসলাম জানান, আগে প্রতি বিঘা জমির ধান রোপন করতে সময় লাগতো ১২ ঘন্টা । বর্তমানে মেশিনে তা করতে সময় লাগছে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টা । আবার প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক দিয়ে ধান রোপন করতে ব্যায় হতো ১০০০থেকে ১২০০ টাকা এখন রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টর মেশিন দিয়ে খরচ হয় ৩০০টাকা। যা অনেক সাশ্রয়ী। কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, রাণীশংকৈল কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ এর পরামর্শে তারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টর মেশিন দিয়ে ধান রোপন করছেন । এতে তারা অনেক লাভবান হচ্ছে। অনেক সময় শ্রমিক পাওয়া যেত না এর ফলে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো এবং খরচ ও সময়ও বেশী লাগতো এখন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে তাদের সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগে যেখানে ৩৬ জন শ্রমিক লাগতো সেখানে এখন একজন দিয়ে তা করা যায়। রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন , মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০৪১ সালের মধ্যে কৃষি কাজ ৮০ ভাগ প্রযুক্তির মাধ্যমে করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদনের খরচ কমাতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমালয় পদ্ধতিতে জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক।