
নিজস্ব প্রতিনিধি
০২ জানুয়ারি, ২০২২, 11:05 AM

অগ্নিকাণ্ডের আট দিন পরও নিখোঁজ পাথরঘাটার পপি
‘একমাত্র মাইয়াডারে হারাইলাম। এহন ক্যামনে থাকমু। মাইয়াডার লাশটা পাইলেও কবরডা দেখতাম।’ এভাবে কথা বলছিলেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের আট দিন পরও নিখোঁজ থাকা পপির বাবা আফজাল হোসেন। নিখোঁজ ফজিলা আক্তার পপির বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ছোট টেংরা গ্রামে।
দুর্ঘটনার পর এমভি অভিযান-১০ লঞ্চসহ ঝালকাঠি ও বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পপি ঢাকার সাভারে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। তার মেয়ে লামিয়া (১৩) নানা-নানির সঙ্গে পাথরঘাটায় থাকে। মেয়েকে নিতে গত ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে পাথরঘাটায় অভিযান-১০ লঞ্চে রওনা হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, বর্তমানে উদ্ধার অভিযান বন্ধ রয়েছে। সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাথরঘাটায় চার জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। পপিসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক। পুড়ে যাওয়া লাশের ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট পাওয়ার পর পপির বিষয়টি জানা যাবে।