ঢাকা ২৫ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সুপারিশ মেনে নিচ্ছে বিএনপি মব জাস্টিস' নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ফেনসিডিল তৈরি করে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইশরাক সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: ফারুক চুল পড়া ও মানসিক উদ্বেগ কমায় কাঁঠালের বীজ তদন্ত কমিশনে ই-মেইল পাঠিয়ে সাক্ষ্য দিলেন নানক-আজম ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের সিইও'র বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

#

১৮ জানুয়ারি, ২০২৪,  12:06 PM

news image

উজ্জল হোসেন: সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড আর্থিক সুরক্ষা এবং অবসর গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আয়ের সমাধান, বিনিয়োগ এবং সুরক্ষা পরিকল্পনার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে প্রিমিয়ার প্রদানকারী হিসেবে চূড়ান্ত স্বচ্ছতা এবং সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবার উপর ভিত্তি করে জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে চলেছে। একই সাথে অভিভাবক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর কৌশলগত অবস্থানগুলির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের সেরা জীবন বীমা সংস্থা হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সহিত এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সদ্য বহিষ্কারকৃত মুখ্য নির্বাহী (সিইও) কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের বিভিন্ন অন্যায়, অনিয়ম দুর্নীতি, অপরাধমূলক অবৈধ কর্মকা-ের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সম্প্রতি সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সে লিমিটেড এর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ বিভিন্ন দুর্নীতি, অর্থপাচার,নারি কেলেঙ্কারি, গ্রাহকদের জমা করা প্রিমিয়ামের টাকা আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বরখাস্তকৃত শীর্ষ দুর্নীতিবাজ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমানের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অভিযোগ উঠার বিষয়ে দৈনিক মুক্তখবরের অনুসন্ধানে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের অভ্যন্তরীণ তদন্তে জানা যায় কোম্পানির তহবিল থেকে বরখাস্তকৃত সিইও মীর রাশেদ বিন আমান কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

বিভিন্ন কর্মচারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক এবং দুর্নীতিকে প্রাধান্য দিতে কর্পোরেট রেকর্ডে হেরফের করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে আসে অনুসন্ধানে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় শীর্ষ দুর্নীতিবাজ এবং অত্যন্ত চতুর মীর রাশেদ বিন আমান অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিডনি থেকে একাউন্টিং এবং ফিনান্সে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরে প্রথমে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পান। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে সর্বদাই বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নানান ধরনের অপকর্মের সর্বদাই নিজেকে সমালোচনার শীর্ষে রেখেছেন। এদিকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস জানিয়েছেন বিভিন্ন গ্রাহকদের ইন্সুরেন্সের জমানো  কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মীর রাশেদ বিন আমানের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের বোর্ডের একাধিক সদস্যদের সাথে আলাপচারিতায় তারা বলেন সাবেক দুর্নীতিবাজ সিইও মীর রাশেদ বিন আমান বিভিন্ন অনৈতিক পন্থায় কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করে অস্ট্রেলিয়াতে একাধিক  বাড়ি, গাড়ি অর্থ পাচার এবং জবর দখলের বিষয়ে খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিটররা । সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায় প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে ২০২৩ সালে একটি বিশেষ নিরীক্ষার মধ্য দিয়েছিল যা অডিটর এমএবিএস এন্ড জে দিয়ে পরিচালিত হয় আইডিআরএ এর নির্দেশাবলী অনুসরণ করে। এই অডিটের ফলাফল যা চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করে পরিচালনা পর্ষদ থেকে গোপন করা হয়েছিল। এই তথ্য কোম্পানির চেয়ারম্যানের নজরে আনতে কোম্পানির মধ্য হুইসেল ব্লোয়ারদের সাহসের প্রয়োজন হয়েছিল। এমএবিএস এন্ড জে এর ফলাফলের সাথে চেয়ারম্যানের একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন আর্থিক ত্রুটি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্দিষ্ট সদস্যদের মধ্যে অনুপযুক্ত সম্পর্ক প্রকাশ করে। তখন উদঘাটনের সম্মুখীন হয়ে  কোম্পানির চেয়ারম্যান বোর্ডকে আর্থিক অপব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করে দূরত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

একই সাথে কোম্পানির চেয়ারম্যানের প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোর্ড প্রধান এই নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার জন্য দায়ী অসদাচরণের প্রমাণ খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল এবং এই উন্নয়নগুলি আইডিআরএকে যথাযথভাবে জানানো বীমা বিধি প্রবিধান আইন ২০১০  অনুসারে ছিল। সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় আইডিআরএ দ্বারা চলমান অডিট সত্ত্বেও চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কর্পোরেট গভর্নেন্স এর সর্বোচ্চ মানের প্রতি তার প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়ে চেয়ারম্যাননের পদ থেকে নিজেকে দূরে রাখার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার গুরুত্বের প্রতি তার বিশ্বাস তাকে বিশ্বাস করতে চালিত করে যে চেয়ারম্যান পদ থেকে তার প্রস্থান নিরীক্ষক এবং নিয়ন্ত্রকদের স্বার্থের কোন অনুভূত দ্বন্দ্ব ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করার অনুমতি দেবে। তারা আরো বলেন তিনি কোম্পানির সততার প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অটল, দৃঢ়ভাবে  কোম্পানির সুনাম রক্ষা করা এবং সত্যতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরে যাওয়া। এছাড়াও তিনি সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছেন একটি ব্যাপক ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন। এছাড়াও তারা আরো বলেন বরখাস্তকৃত  সিইও মীর রাশেদ বিন আমানোর মত দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির পাশাপাশি  এই সংকটময় সময়ে গ্রাহকদের বিচলিত না হয়ে  বরং সামনের দিনগুলোতে পূর্বের ন্যায় সোনালী ইনন্স্যুরেন্স লিমিটেডের উপর আস্থাশীল হতে তারা গ্রাহকদের অনুরোধ করেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম