ঢাকা ২৬ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সুপারিশ মেনে নিচ্ছে বিএনপি মব জাস্টিস' নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ফেনসিডিল তৈরি করে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইশরাক সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: ফারুক চুল পড়া ও মানসিক উদ্বেগ কমায় কাঁঠালের বীজ তদন্ত কমিশনে ই-মেইল পাঠিয়ে সাক্ষ্য দিলেন নানক-আজম ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস

মধুখালী ডুমাইনে বীরমুক্তিযোদ্ধার বাড়ীর জায়গা দখল

#

৩১ মে, ২০২৩,  10:10 PM

news image

বায়ে মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ডানে দুলু মোল্যা


লেলিন মাহমুদ: ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনামুল হকের বাড়ীর আংশিক জায়গা দখল করে আছে দুলু মোল্যা ও মফিজ ওরফে মফি মোল্যা নামে প্রতিবেশি দুইভাই। সরেজমিনে এ প্রতিনিধি প্রত্যক্ষ করেন যে সিমানা জটিলতা নিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে উভয় পক্ষ গ্রামের মুরব্বীদের উপস্থিতিতে আমিন এনে উভয় বাড়ীর জমি জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। প্রতিবেশি দুলু মোল্যার বাথরুম, রান্না ঘরের আংশিক এবং মফি মোল্যার বাথরুম ও গোয়াল ঘরের আংশিক মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের সীমানার মধ্যে পড়ে। এসময় উপস্থিত গ্রামের  গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ঐ বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।বাথরুম রান্না এবং গোয়ালঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য। উভয় পক্ষয় এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন। কিন্তু অক্টোবর মাস শেষ হয়ে গেলে তারা ঐ বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পুনরায় সময় চান। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এনামুল হক তাদেরকে আবার সময় দেন। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেলে বাথরুম, রান্নাঘর  এবং গোয়ালঘর না সরিয়ে দুলু এবং মফি গং নানা রকম তালবাহানা করতে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ও তার পরিবারকে নিয়ে দুলু, মফি গং কটুবাক্য, গালিগালাজ ও মানহানিকর কথা মানুষের কাছে বলতে থাকেন যা গ্রামের অনেকেই জানেন। সর্বশেষ গত ২৪মে ২০২৩ তারিখে দুলু এবং মফি দুই ভাই মোঃ এনামুল হকের সীমানা পিলার ভেঙ্গে ফেলে এবং সেখানকার বিভিন্ন ফলজ গাছের ডাল কেটে গাছের মারাত্বক ক্ষতি সাধন করেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক ঢাকায় তার ছেলের বাসায় অবস্থান করছিলেন। ২৪ মে  ২০২৩খ্রিঃ মফি ও দুলু বীরমুক্তিযোদ্ধা এনামুল হকের বড় ছেলে তারিকুল ইসলামকে বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলাতে চাকুরীর সুবাদে বসবাসরত আছেন।  তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন প্রতিপক্ষগণ। সে কারনে তারিকুল ইসলাম পরেরদিন ২৫ মে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মধুখালী থানায় দুলু মোল্ল্যা ও তার ছেলে মাহাব মোল্যা এবং মফি মোল্যা ও তার ছেলে সামছু মোল্যার  নামে মধুখালী থানায় একটি জিডি করেন। যার নং ১১৭৭, তারিখ ২৫ মে ২০২৩খ্রিঃ ।৩০/৫/২৩ সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিলে দুলু মোল্লার কথা কর্কট ছিল। চলে আসার পর বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অকথ্য ভাষাই গালিগালাজ করে ও সাংবাদিক নিয়ে যাওয়ায় ভয়ভীতি দেখালে ৩১/৫/২৩ দুুপুর ১২টাই মধুখালী থানাই গিয়ে দুলু মোল্যা সহ কয়েকজনের নামে আরো একটি জিডি করেন। জিডি নং-১৪৪০। উল্লেখ্য এক সময় মুক্তিযোদ্ধার এই জমিটি বর্গা চাষ করত দুলু মোল্যা, কালক্রমে আস্তে আস্তে জমির কিছু অংশ ভোগ দখল করে নেয়। এলাকার স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী,দুলু মোল্লাকে উস্কানি দিয়ে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন এনামুল হক।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম