ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের মার্কিন হামলার পর দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রেস ক্লাবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ বিকালে ইসিতে যাবে এনসিপি ইসিতে নিবন্ধনের শেষ দিন আজ নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২ ইসরায়েলে হামলা শুরু ইরানের মার্কিন নৌবহরে হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের নদীতে ইলিশের দেখা নেই, আকাশছোঁয়া দাম বাজারে

সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে কি না, রায় আজ

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৯ জুলাই, ২০২৪,  11:14 AM

news image

চাঁদপুরের পারভীন হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় আজ (৯ জুলাই)।

মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই রসু খাঁসহ তিনজনের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের এ আইন কর্মকর্তা বলেন, শুনানিতে সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ তিন আসামির অপরাধের ভয়াবহতা তুলে ধরেছি। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ। মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে একে একে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের তথ্য। এ সময় সে নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা। ভালোবাসায় ব্যর্থ হয়ে একসময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয় রসু খাঁ। টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করে রসু খাঁ। রসু যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল গার্মেন্টস কর্মী। পরে তাকে এবং তার দুই সহযোগীকে পারভীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।

ওই হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ (৪৫) তিনজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। অপর দুইজন হলেন, রসু খাঁর ভাগনে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী মো. ইউনুছ (৩৮)। 

২০১৮ সালের ৬ মার্চ চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল মান্নান এ রায় দেন। এরপর মামলার নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম