ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মেডিক্যাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে পুলিশ ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

সাভার মডেল থানায় মুক্তার সাধারণ ডায়েরি-আমি অপহরণের শিকার নই

#

ফয়জুল ইসলাম

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:55 PM

news image

আমাকে কেউ অপহরণ করেনি, আমি স্বামীর সঙ্গে দিব্বি সংসার করছি আমি অপহরণের শিকার নই,  সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিতে বিষয়টি অবগত করা হয়। এরপরও মা বাদী হয়ে আমার শ্বশুর ও স্বামীর নামে অপহরণের মামলা দেয়। ঘটনাটি জানার পরও সাভার থানা পুলিশ মামলা নেওয়ার বিষয়টি আমাকে হতবাক করছে। এমন মিথ্যা মামলায় ২ রাত ২ দিন থানা হাজতে শ্বশুরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে পুলিশ। এরপর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। নির্দোষ হয়েও মিথ্যা মামলায় আজ আমার শ্বশুর কারাভোগ করছেন। সাভার থানা পুলিশ সত্যকে আড়াল করে কেন মিথ্যাকে প্রাধান্য দিলো, দুঃখ ভরে জানায় পুত্র বঁধু আফসানা আক্তার মুক্তা। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান গণমাধ্যম কে বলেন, কোনো আসামিকে থানা হাজতে দুই দিন আটকে রাখা বা নির্যাতন করার আইনগত সুযোগ নেই পুলিশের। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুক্তা সাভারের রাঢ়ীবাড়ী সোবহানবাগ এলাকার হারুন অর রশিদের মেয়ে।

তিনি দক্ষিণ দরিয়াপুর এলাকার ইসমাইল কাজীর ছেলে তাহাজিদকে গত ২৪ জুলাই ঢাকার আদালতে বিয়ে করে সুন্দর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু মুক্তার মা শাহনাজ পারভীন (৪২) তাদের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে ১১ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তা ‘নিখোঁজ নয়’ বিষয়টি অবগত করে সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ভুক্তভোগী ইসমাইলের স্ত্রী তানিয়া বেগম গণমাধ্যম কে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমাদের দোকান থেকে ইসমাইলকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থানা হাজতে দুই দিন তাকে আটকে রেখে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করা হয়। টানা দুই দিন ইসমাইলকে থানা হাজতে রাখার পর সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। তিনি বলেন, আমার পুত্রবধূ আফসানা আক্তার মুক্তা সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে থানা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি অপহরণের শিকার না। অথচ এর ৭ দিন পর আফসানাকে অপহরণের বিষয়টি উল্লেখ করে পুলিশ মামলা নেয়। 

সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করার পরও এ ঘটনায় কেন অপহরণের মামলা গ্রহণ করা হলো জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি পরিষ্কার বলতে পারবেন। আর থানা হাজতে দুই দিন আসামি আটকে রাখার বিষয়টা আমার জানা নেই।  মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি তাহাজিদ শাহনাজের মেয়েকে কলেজে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ জুলাই দুপুরে তাহাজিদ এবং তার বাবা ইসমাইলসহ অজ্ঞাতনামা ২ জন ব্যক্তি তার মেয়েকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) উল্লেখ করেন, ১৮ বছর পূর্ণ করে নিজের ভালোর কথা চিন্তাভাবনা করে গত ২৪ জুলাই তার পরিচিত তাহাজিদকে বিয়ে করেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেওয়ায় স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছি। এরপর থেকে আমার মা এ সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করে আসছে। এমতাবস্থায় হুমকি-ধমকি এবং হয়রানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই পুলিশি সহায়তা কামনা করছি। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক উম্মে হানি বেগম বলেন, থানায় প্রতিদিন কয়েকশ সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ হয়। তাই এত ডায়েরি থেকে কে অপহরণের শিকার না, তা বুঝা দায়। যার ফলে এ ঘটনায় অপহরণের মামলা রুজু হতে পারে। তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত ইসমাইলকে রোববার গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম