
NL24 News
৩০ মে, ২০২৪, 9:35 PM

সাভারে সাংবাদিকদের হুমকি ও মারধরের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবি
ফয়জুল ইসলামঃ সাভারে নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ও জামায়াত নেতার তথ্য জানতে চাওয়ায় সাংবাদিক ওমর ফারুককে প্রাণ নাশের হুমকি ও কারখানা দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের আকলাকুর রহমানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে সাভারে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা। আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এসময় বক্তারা হুমকি ও হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে সাভার প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাভারে বর্তমানে চারিদিকে অন্যায় অত্যাচার ও দখলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাংবাদিকতা আজ হুমকির মুখে।
যখনই সাংবাদিকেরা কোন দখল কিংবা অপরাধের সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তখন দখলবাজ, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুরা পরিকল্পিত সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে করে সাংবাদিকদের পক্ষে সমাজের অসংগতিগুলো তুলে ধরা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। এছাড়া সাংবাদিকদের উপর হামলা, হুমকি ও মিথ্যা মামলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মানববন্ধন থেকে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাসহ এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য্য বলেন, আমরা আগেও দেখেছি অনেক সাংবাদিকের উপর বিভিন্ন মামলা-হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গল সিরামিক কারখানার মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে কারখানার ভেতর গন্ডগোলের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সহকর্মী আকাশের উপর হামলা চালিয়ে তাঁকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। সাংবাদিকরা তো কারখানার মালিক হতে চায়না, তারা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলেই তাদের উপর হামলা চালাতে হবে? অন্যদিকে আমাদের আরেক সহকর্মী ওমর ফারুক এক জামায়াত নেতার তথ্য জানতে চাওয়ায় ওই কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হোসেন রাফিও এবঙ কারখানার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে পুলিশে দেয়ার হুমকি দিয়েছি। তথ্য চাওয়াটা কি অপরাধ? আমরা কি অপরাধী? আমি এসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুস সাকিব বলেন, আমরা সাংবাদিকরা তো অপরাধী না। আমরা একটি অপরাধ সংগঠিত হলে সেখানে নিউজের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে যাবো এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেখানে গিয়েও যদি আমাদের হামলা ও হুমকির শিকার হতে হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা হামলা ও হুমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাই। যদি দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো। ভুক্তভোগী সাংবাদিক ওমর ফারুক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বক্তব্য সংগ্রহ করতে যাওয়ায় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকিসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
এর কিছুক্ষন পরই সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন ফোন করে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চান। আমি বলতে চাই পুলিশ কি কারখানা কর্র্তৃপক্ষের চাকুরী করে নাকি সরকারের চাকুরী করে। জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যে পুলিশ তাকে কিভাবে কারখানার মালিক ব্যবহার করে এবং তাদের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে পরিচয় যেনে নেয়ার কথা বলে। আমি পুলিশ কর্মকর্তা নয়ন কারকুনসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং অবিলম্বে হুমকি দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া নিজেদের অপরাধ ঢাকতে উল্টো সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ডায়েরী প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।