ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মেডিক্যাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে পুলিশ ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

সব ক্যানসারের সেবা মিলবে বিএসএমএমইউয়ে: উপাচার্য

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  9:29 PM

news image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, লিউকেমিয়া হলো রক্তের ক্যানসার বা ব্লাড ক্যানসার, যা বর্তমান সময়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আর এই লিউকেমিয়াসহ সব ধরনের ক্যানসারের বিশ্ব মানের চিকিৎসা সেবা বিএসএমএমইউতে চালু করা হবে। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী যাতে সহজে জরুরি চিকিৎসা সেবা, প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং চিকিৎসার অন্যান্য উপকরণ সুলভে পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

এমনকি রোগ নির্ণয় এবং ঝুঁকি নির্ণয়ের সর্বাধুনিক ও প্রয়োজনীয় সুবিধাদি সহজলভ্য করতে হবে। এছাড়াও দেশে হেমাটোপরেটিক সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন সার্ভিস আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ। তিনি জানান, লিউকেমিয়ার ধরন অনুসারে চিকিৎসায় ভিন্ন হয়ে থাকে। লিউকেমিয়া একিউট ও ক্রনিক এই দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং ধরনভেদে চিকিৎসায় ভিন্নতা হয়ে থাকে। রোগ নির্ণয়ের পরে রোগের ঝুঁকির পর্যায় বিবেচনা করে রোগের চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়। সিবিসি, পিবিএফ ফ্লো সাইটোমেটি, বোন ম্যারো পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয় এবং সাইটোজেনেটিক ও মলিকুলার পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর ঝুঁকির স্তর সম্পর্কে ধারণা লাভ করা হয়। চিকিৎসা প্রসঙ্গে বলা হয়, মুখে খাবার ঔষধ, কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়। রোগ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ঔষধের কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজনে ঔষধের ডোজ পরিবর্তন করা হতে পারে। ক্রনিক লিউকেমিয়া মিত্র চিকিৎসায় সিএলএল ও সিএমএল চিকিৎসায় টার্গেটেড থেরাপি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এসব ঔষধের অধিকাংশই এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, রোগ বৃদ্ধি পেলে প্রয়োজনে হেমাটোপয়েটিক সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে রোগের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা সম্ভব। উচ্চ ঝুঁকির অ্যাকিউট লিউকেমিয়ার চিকিৎসায় হেমাটোপয়েটিক সেল ট্রান্সপ্লান্টেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেমিনারে হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. শারমিন ইয়াসমিন ও ডা. মীম জারিন তাসনিম প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। হেমাটোলোজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মিলি দে ও ডা. মারুফ রেজা কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন মেডিসিন অনুষদের ডিন হেমাটোলজী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস ও অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম