
NL24 News
২০ মে, ২০২৫, 11:04 AM

রোডম্যাপ অনুসারে চলছে না রাকসুর কার্যক্রম, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ দুই মাস আগে ঘোষণা হলেও সেই অনুসারে চলছে না কার্যক্রম। অবিলম্বে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে কেবল আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ প্রশাসন। এদিকে গঠনতন্ত্র সংস্কার ছাড়া নির্বাচন চায় না অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন। ফলে যথাসময়ে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, 'নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করতে শিগগিরই কমিশন বসবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।' এর আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষিত হয়। সেই হিসেবে গত ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং ১৯ মে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া নির্বাচন জুনের শেষে হবে বলে জানানো হয়। তবে ঘোষণা হলেও খসড়া ভোটার তালিকা এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টা আবাসিক হলের সবাই এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা জমা দেয়নি। ভোট নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যেও আছে নানা মতানৈক্য। জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, নির্বাচন হোক আমরাও চাই। তবে গঠনতন্ত্র যথাযথ সংস্কার এবং সকল ছাত্রসংগঠনের জন্য সমান ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন হোক। একটি দল বিশেষ সুবিধা পাক এমন নির্বাচন চাই না। এছাড়া গঠনতন্ত্র সংস্কার করেই নির্বাচন চান বাম ছাত্রসংগঠনগুলোও। শাখা শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, রাকসু নির্বাচন যথাসময়ে দিয়ে ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিত হোক সেটাই আমরা চাই। রাকসু নির্বাচনের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকে। ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনের একক দাপট নিরসনে অবিলম্বে নির্বাচন চান তারা। সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা দাবি নিয়ে যাই, উপাচার্য আশ্বাস দিয়েই ক্ষান্ত থাকেন। খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে বললে সেটা অনেক আগেই হয়েছে বলে জানান। সংশ্লিষ্টরা কেন প্রকাশ করেনি সেটা তিনি জানেন না। এমন অনেক বিষয়ে তার কাছে গেলে তিনি সংশ্লিষ্টদের উপর দায় দেন। তাহলে উপাচার্যের কথার কোন মূল্য কি নেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাকনু নির্বাচন সবাই চান। তবে আসলেই হোক, সেটা সব ছাত্র সংগঠন মন থেকে চান কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, নির্বাচন দ্রুতই সম্পন্ন করতে কমিশন কাজ করছে। গঠনতন্ত্র নতুন করে আর সংস্কারের সুযোগ নেই। নির্বাচনের সার্বিক দিক এই কমিশন দেখবে।