
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ মে, ২০২২, 2:37 PM

রাশিয়াকে আর নিষেধাজ্ঞা দিতে রাজি নয় ইইউ
রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। রোববার (২৯ মে) কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইইউর কয়েকটি দেশ নতুন করে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত নয় এবং তারা আপত্তিও জানিয়েছে। বিশেষ করে তারা রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই চায় না। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইইউর কূটনীতিকরা একমত নন। জ্যেষ্ঠ এক কূটনীতিক বলেন,
এখনো এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোতে ইইউকে একমত হতে হবে। রাশিয়ার ওপর নতুন করে ছয়টি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা করছে ইইউ। এর মধ্যে রাশিয়ার তেল নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও রয়েছে। এ নিয়ে সোমবার (৩০ মে) পুনরায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ইইউ নেতাদের। দুদিনের এ বৈঠকে কীভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করা যায়, বিশেষ করে জ্বালানির দাম, খাদ্য সংকট এবং ইইউ সদস্যদের প্রতিরক্ষা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটির যুক্তি, রাশিয়ার তেলের বিকল্প পাওয়া কঠিন। ফলে অর্থনীতিতে বিশাল ধাক্কা পড়ছে। হাঙ্গেরির এ সুরে সুর মিলিয়েছে স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রও। রাশিয়ায় তেল নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে আলোচনা করছেন ইইউ নেতারা। কিন্তু তাদের আলোচনায় এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। রাশিয়ার গণমাধ্যম বন্ধ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের প্রবেশাধিকারে বাধা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেন সুইফট থেকে বিতাড়িত, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রুশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমান যোগাযোগ নিষিদ্ধ, এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাশিয়াকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। টানা তিন মাসের লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয় বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ সব শহর। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পুরো বিশ্ব।