ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

যে পানীয় দূর করবে দুর্বলতা ও ত্বকের সমস্যা

#

লাইফস্টাইল ডেস্ক

৩০ এপ্রিল, ২০২৫,  12:13 PM

news image

আপনি কি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করেন? হজমের সমস্যা, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া, বা ইমিউনিটি দুর্বল হওয়া—সমস্যাগুলোর অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার গাট হেলথ। সুস্থ থাকতে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে এক কার্যকরী পানীয় হতে পারে বিট কেভাস। চলুন জেনে নিই কীভাবে এটি তৈরি করবেন এবং এর উপকারিতা কী।

বিট কেভাস কী?

কেভাস একটি প্রোবায়োটিক পানীয়, যা শুধু বিটরুট থেকেই তৈরি করা হয়। এই পানীয়টি ইউরোপে জনপ্রিয় হলেও, এখন বিশ্বজুড়ে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য। বিট কেভাস মূলত একটি ফারমেন্টেড পানীয়, যা গাট হেলথের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি তৈরি করা হয় বিটরুট, পানি এবং সামান্য লবণ দিয়ে, যা কয়েক দিন রেখে ফারমেন্ট করা হয়।

কেন বিট কেভাস খাবেন?

গাট হেলথ উন্নত করে: বিট কেভাসে প্রোবায়োটিকস থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করে। এটি গলব্লাডার পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

ইমিউনিটি বাড়ায়: বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: বিট কেভাসের ডিটক্সিফাইং প্রোপার্টি শরীর থেকে টক্সিন বের করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।

শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরে শক্তি যোগায়।

হার্টের জন্য উপকারী: বিট কেভাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।

কীভাবে তৈরি করবেন?

২-৩টি বিটরুট ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন।

একটি পরিষ্কার কাচের জারে বিটরুটের টুকরাগুলো রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।

স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ বা আদা যোগ করতে পারেন।

জারটি ৩-৪ দিন রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন, যাতে এটি ফারমেন্ট হয়ে যায়।

ফারমেন্ট হওয়ার পর, এটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পান করুন।

পান করার নিয়ম:

যেকোনো সময় খাবারের আগে প্রতিদিন এক কাপ বিট কেভাস পান করুন। এক মাস খাওয়ার পর আপনি শারীরিক এবং ত্বকের পরিবর্তন স্পষ্টভাবে অনুভব করবেন। তবে, কিডনির সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে চলুন।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম