ঢাকা ২৪ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ঝালকাঠি-২ আসনে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কলারোয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা যশোরে বাসচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলা, ১৫ উড়োজাহাজ–হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ বরগুনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুলের শুনানি ৭ জুলাই

মুন্সীগঞ্জ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল, ২০২৪,  11:08 AM

news image

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট মোল্লাকান্দি ও খাসকান্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা থেকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংর্ঘষ চলে। গোলাগুলি ও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রাম। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাব্বি (১৯) ও পারভেজকে (২০) গুরুতর অবস্থায় প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সঙ্গে আহমদ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ান দুই গ্রুপের সমর্থকরা । মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। এতে গুলিবিদ্ধ দুইজনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০ থেকে ১২টি বসতবাড়ি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আহমদ গ্রুপের আহমদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী-সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আমার কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে আমার দুই কর্মী গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।  তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেন মামুন হালদার। তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে আমাদের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল আহমদ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে আমার লোকজনের বাড়িঘরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। এতে আমার ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে দাবি করে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে গ্রাম দুটিতে পুলিশি অভিযান চলছে। যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম