
নিজস্ব প্রতিনিধি
২৩ জুন, ২০২২, 4:28 PM
মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা: কুড়িগ্রামে ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় ১০ জেএমবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু চার্জশিট দাখিলের আগেই পুলিশের গুলিতে তিন আসামি এবং চার্জশিট দাখিলের পর আরও এক আসামি নিহত হলে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাকি ছয় জনের বিরুদ্ধে এবং জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী, মো. রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী এবং গোলাম রব্বানী নামে তিন আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি অভিযোগ গঠন করে আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, উভয় মামলার আসামিদের মধ্যে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী পলাতক রয়েছে। অপর পাঁচ আসামি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজীব গান্ধী, গোলাম রব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলছ, মাহাবুব হাসান মিলন ওরফে হাসান এবং আবু নাসের ওরফে রুবেল কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে রয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), কুড়িগ্রামের পরিদর্শক এম এ ফারুক জানান, সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে আইন অনুযায়ী মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছিল। এর আগে পিপি এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা অপপ্রয়াসে এই খুন করা হয়েছে। এটা কোনও সাধারণ খুন নয়। একটা রাজনৈতিক উদ্দেশে এ খুন করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে দেয়া তাদের জবানবন্দিতে সেটা স্বীকারও করেছে।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের কৃষ্ণপুর গাড়িয়াল পাড়ার কাছে গড়ের পার এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হন ওই এলাকার বাসিন্দা ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। সকাল পৌনে ৭ টার দিকে ওই এলাকার আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে পাকা রাস্তার ওপর হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের আটকের চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। ওই দিনই অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন নিহত মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র ছেলে রুহুল আমিন আজাদ।