
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৩ জুলাই, ২০২২, 12:58 PM

মমতার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী গ্রেফতার
মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী এবং কেবিনেটের সিনিয়র মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫ ঘণ্টা জেরা শেষে শনিবার (২৩ জুলাই) তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব এবং পঞ্চায়েত বিষয়ক এ মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতার গণমাধ্যম সূত্রের খবর শুক্রবার সকাল থেকে টানা জেরার মুখে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তল্লাশি চালানো হয় দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার নিজের বাড়িতে। একই সময় থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক মডেলের টালিগঞ্জের একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে গোয়েন্দা সংস্থা ই ডি। যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন ওই মডেল। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ঢালাও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছিল ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং তার সহযোগী ইডি। এই ঘটনায় শুক্রবার কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা হলে মামলার তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এর আগে বেশ কয়েক দফায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে দফতরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন গোয়েন্দারা। এবার সরাসরি তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি অভিযানে নামল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে এর আগে শিক্ষা দফতরের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।এদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অভিযান বিজেপির বিরুদ্ধেই সুর চওড়া করেছে তৃণমূল। রাজ্যটির প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের মধ্যদিয়ে দেশ থেকে বিজেপিকে বিতাড়নের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ডাক শুনে মোদি ভয় পেয়ে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বলে কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই তারা সিবিআই ও ইডির গোয়েন্দাদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মমতার প্রশাসনের শতভাগ মন্ত্রী এবং আমলা দুর্নীতিগ্রস্ত। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলেছে তৃণমূল। তাই প্রয়োজনে মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।