
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জুন, ২০২৪, 5:01 PM

ভেঙে দেওয়া হলো সাদিক এগ্রোর বাকি অংশ
টানা তৃতীয় দিনের অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাদিক এগ্রোর অবশিষ্ট অংশ। এ সময় আশেপাশের অবৈধ স্থাপনাও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।শনিবার (২৯ জুন) সকাল থেকেই তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। এ বিষয়ে ঢাকা ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাসান বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হবে আজ। এরই মধ্যে খালের যে অংশ ভরাট করা হয়েছিল, সেটি খনন প্রক্রিয়া শুরু করেছে ডিএনসিসি। উচ্ছেদ করা স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, কাঠের মিল, রাজনৈতিক দলের অফিস ও একটি গবাদি পশুর বাণিজ্যিক ফার্মের স্থাপনা। প্রায় ২০ বছর ধরে দখলে থাকা মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালে গড়ে ওঠা সাদিক এগ্রো অবশিষ্ট স্থাপনাসহ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ের ভেতরে রামচন্দ্রপুর খাল দখল ও ভরাট করে সীমানার ভেতরে এই খামার গড়ে তোলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কোরবানির জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে মতিউর রহমানের পুত্র মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনার খবর প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও রয়েছে তার মোটা অংকের বিনিয়োগ। ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর রহমানকে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা হয়।