ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কলারোয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা যশোরে বাসচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলা, ১৫ উড়োজাহাজ–হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ বরগুনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুলের শুনানি ৭ জুলাই চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির

বুয়েটছাত্র হত্যা: যে তথ্য দিলেন ডিবিপ্রধান

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ নভেম্বর, ২০২২,  1:39 PM

news image

বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশকে নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে খুন করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানালেও ডিবি বলছে ভিন্ন কথা। ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, পরশকে চনপাড়ায় খুন করা হয়েছে এমন মনে হচ্ছে না। রাত আড়াইটায় তার চনপাড়ায় যাওয়ার কথা নয়। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে চারজন ফারদিনকে যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় তারাবোর দিকে নিয়ে যায়। সুলতানা কামাল সেতু হয়ে বিশ্বরোডের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তিনি বলেন, পরশকে সাদা গেঞ্জি পরা এক লোক লেগুনায় তুলতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় লেগুনাচালক নজরদারিতে আছে। হারুন বলেন,

রাত আড়াইটায় চনপাড়ায় যাওয়ার কথা নয় পরশের। তাকে হয়তো কোনো প্ররোচনা দিয়ে লেগুনায় তোলা হয়েছিল। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর র‍্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরশ হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারলেও হত্যায় কারা জড়িত, তা আমরা কিছুটা শনাক্ত করেছি। তার হত্যায় রায়হান গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। রায়হানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে চনপাড়ায় মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও বলার মতো কোনো অবস্থানে আমরা নেই। পরশের বেড়ে উঠা চনপাড়া থেকে বেশি দূরে নয়। এটা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড চনপাড়াতেই হয়েছে, এটা নিশ্চিত। যাদের নাম আসছে–সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’ গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েট শিক্ষার্থী পরশের মরদেহ। তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনার পর হত্যা মামলা করেন পরশের বাবা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে। কীভাবে মরদেহ এলো শীতলক্ষ্যায়, কারা খুন করল পরশকে–এসব রহস্যের জট খুলতে গিয়ে ক্লুলেস এ মামলার তদন্তভার আসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আসে পুলিশের কাছে, যেখানে পরশকে তার বান্ধবী বুশরার সঙ্গে রিকশায় দেখা যায় রামপুরা এলাকায়। পরশের বাবার করা হত্যা মামলায় বুশরা এক নম্বর আসামি। গ্রেফতারও করা হয় তাকে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। যদিও হত্যায় বুশরা জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। মামলায় কারাগারে আছেন বুশরা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম