ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

বিদেশ যেতে না পেরে ছেলের প্রাণ কেড়ে নিলেন বাবা

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ জুন, ২০২৫,  10:47 AM

news image

রাজধানীর হাজারীবাগে বিদেশ যাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে বাহারুল ইসলাম রাসেল (২২) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তার বাবা। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ঘাতক বাবা জুয়েল রানা।  শনিবার (১৪ জুন) রাত ১১ টার দিকে হাজারীবাগের ঝাউচর আমলা টাওয়ারের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মুমূর্ষ অবস্থায় রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন জানান, রাসেলের মা শাহনাজ বেগম জর্ডান প্রবাসী। কথা ছিল ছেলে রাসেলকে কিছুদিনের মধ্যেই জর্ডানে নিয়ে যাবেন তিনি। এজন্য রাসেলের পাসপোর্টও প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু, রাসেলের বাবা জুয়েল রানাও বিদেশ যেতে চাইছিলেন। কে আগে যাবে; বাবা না ছেলে, এই বিষয় নিয়েই কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া শুরু হয় তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় শাহনাজ বেগম চাইছিলেন ছেলেকে আগে নিয়ে এরপর স্বামীকে নিতে। তিনি আরও জানান, শাহনাজ বেগমের এমন ইচ্ছা জানার পর রেগে যান তার স্বামী জুয়েল রানা। দুইদিন আগে শাহনাজ বেগমকে মোবাইলে ডিভোর্স দেন তিনি। এতেও ক্ষোভ শেষ হয়নি তার। শনিবার রাতে হাজারীবাগের বাসায় ফিরে ছেলে রাসেলকে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে বলতে থাকেন, ‘তোর মা আমাকে না নিয়ে তোকে জর্ডানে নিয়ে যাবে, যা তোকে একবারে পাঠিয়ে দিলাম। জানা যায়- ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান জুয়েল রানা। পরে রাসেলের মামা ও স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে পৌঁছান। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি হাজারীবাগ থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম