ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

বর্ষবরণের আতশবাজিতে কেঁপে ওঠ সেই শিশুটি আর নেই

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জানুয়ারি, ২০২২,  12:21 PM

news image

থার্টিফার্স্ট নাইটের সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীজুড়ে ফুটছিল আতশবাজি। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২ বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আতশবাজির মুহূর্মুহু বিকট শব্দে কেঁপে উঠে গোটা রাজধানী। আতশবাজির সেই তীব্র শব্দে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছিল চার মাসের শিশু উমায়েরও। হার্টে ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুটির তখন থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। সারা রাত কাটে এভাবেই শিশুটির । ছেলের এই পরিস্থিতি নিয়ে ৩১শে ডিসেম্বর রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন পিতা ইউসুফ রায়হান। আতশবাজির ফোটানোর সমালোচনা করে তিনি লিখেন, ‘কী বিকট শব্দ!

আমার ছোট বাচ্চাটি এমনিতে হার্টের রোগী। আতশবাজির প্রচণ্ড শব্দে বাচ্চাটি আমার ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে ওঠে। খুব ভয় পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। খুব আতঙ্কে রাত পার করছি।’ শ্বাসকষ্ট না কমায় ১লা জানুয়ারি সকালে ছেলে হাসপাতালে ভর্তি করেন ইউসুফ। হাসপাতালে ভর্তির তিন ঘণ্টার মধ্যে মারা যায় শিশুটি। জানা গেছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ে একটি দোকানে মোবাইল যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। তিনি বিয়ে করেন ছয় বছর আগে। তাঁর পাঁচ বছর বয়সী আরেকটি ছেলে রয়েছে। গত মাসের প্রথম দিকে নিউমোনিয়া হয়েছিল উমায়েরের। গত ১০ই ডিসেম্বর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয় তাকে। চারদিন পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরে। এর সপ্তাহখানেক পর আবার তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন চিকিৎসক ব্যস্ত থাকায় তাকে সেদিন আর নেওয়া হয়নি।ইউসুফ রায়হান জানান, বর্ষবরণের রাতে আতশবাজির বিকট শব্দে ভয়ে ছেলেটা বারবার কেঁপে উঠছিল। সারা রাত ঘুমাতে পারেনি। সকাল থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সকালে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলে।


logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম