ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মেডিক্যাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে পুলিশ ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ২২ বছর পর বাবার খোঁজ পেলেন পাকিস্তানি তরুণী

#

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  10:21 AM

news image

ছবি : সংগৃহীত

২২ বছর পর ফেসবুকের একটি গ্রুপের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত নিজ পরিবারের খোঁজ পেলেন তাহরিম রিদা নামে এক পাকিস্তানি তরুণী। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে রিদা একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আমি এখানে আমার বাবার পরিবার খুঁজতে এসেছি।  আমার বাবা ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান এসে আমার মাকে বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ফেনী থেকে এসেছিলেন। তার নাম ছিল মুহাম্মদ কাসিম আজাদ। আমার দাদার নাম তফাজুল হক, যিনি সম্ভবত আমার বাবার শৈশবে মারা গিয়েছিলেন। আমি আমার বাবার পরিবার সম্পর্কে খুব বেশি বা প্রায় কিছুই জানি না।’গ্রুপে তিনি চাচার একটি ছবি দিয়ে বলেন, ‘আবু সাদিক আমার বাবার বড় ভাই।

যদি কেউ এই পরিবার সম্পর্কে কিছু জানেন তবে আমার পরিবারের সঙ্গে দেখা করা যাবে। এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের হবে যা আমি কখনো দেখিনি।’ রিদা পোস্টের আরও উল্লেখ করেন, ‘কলেজে বা বাইরে গেলে তার বাবার পরিচয় জানতে অনেকেই বিরক্ত করে। পিতৃপরিচয় না থাকায় অবহেলিত হতে হয়েছে ২২ বছর। তার বাবা পাকিস্তান থাকাকালীন তার মাকে বিয়ে করেন। পাকিস্তানে তার মাকে রেখে দেশে গেলে অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তার পরিবারের সঙ্গে আর পরিচয় হয়নি।’ রিদা পোস্ট দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যে বাবার পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। শুধু তাই নয়, তার ফুপু এবং ফুপাত ভাইয়ের সঙ্গেও কথা হয়।  রিদার বাবার বাড়ি ফেনীর দাগনভূঁইয়ার ফাজিলের ঘাটে। তার বাবা দেশে এসে তার মাকে চিঠি পাঠাতেন। চিঠিতে উল্লিখিত ঠিকানা থেকেই ফেনী শব্দটি পায় রিদা। পরে গুগলে সার্চ করে জানতে পারে ফেনী একটি জেলা। পরবর্তীতে ফেনী সার্চ করে ‘আমাদের ফেনী’ নামক গ্রুপটি পায়। এরপর যাবতীয় ডিটেইলসসহ ফেসবুকে ইংরেজিতে পোস্ট করেন। এরপর ট্রান্সলেশন করে বাংলায় পোস্ট দেন অ্যাডমিন প্যানেল। পিতৃপরিচয় পেয়ে রিদা বলেন, ‘ফেনীর মানুষকে কী বলে ধন্যবাদ দেবো তা বলার ভাষা আমার নেই। আমাকে যারা খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে সবাইকে আল্লাহ নেক হায়াত দান করুক। খুব শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম