ঢাকা ২১ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

ফের ১৫ দিনের জেল হেফাজতে পিকে হালদার

#

০৫ জুলাই, ২০২২,  2:35 PM

news image

ফের ১৫ দিনের জেল হেফাজতে দেয়া হয়েছে পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে শিব শঙ্কর হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এ রায় দেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ১৫ দিন পরেই চার্জশিট জমা দিবে। এর আগে ২১ জুন তাদের প্রত্যেককে বিশেষ সিবিআই কোর্ট-৩ এ তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষে আজ ৫ জুলাই ফের তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হলে ১৫ দিনের জেল হেফাজতে দেন আদালত।

গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে।  ইতিমধ্যেই পিকে হালদারসহ গ্রেপ্তারকৃত ছয়জনের বিরুদ্ধেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা অর্থপাচার সম্পর্কিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের তরফে কয়েক দফায় ইডি রিমান্ড এবং জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পর পিকে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তের প্রত্যেকেই কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অভিযুক্তদের জেরা করে ইতিমধ্যেই নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রচুর সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের একাধিক শহরে। এখন পর্যন্ত ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা। নতুন নতুন তথ্য পেতে কারাগারে গিয়েও অভিযুক্তদের জেরা করছেন ইডির কর্মকর্তারা। এদিকে ওই মামলায় পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী স্বপন মৈত্রের স্ত্রী পূর্ণিমা মৈত্রকে জেরা করেছে ইডির কর্মকর্তারা। গত বুধবারই ইডির পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স আসেন পূর্ণিমা মৈত্র। টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয় বাংলাদেশের দুদকের এজহারভুক্ত আসামি পূর্ণিমা মৈত্রকে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পূর্ণিমার পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংকের পাস বই, ইনকাম ট্যাক্স সম্পর্কিত নথি, বারাসাতে থাকা তাদের একটি ফ্ল্যাটের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ একাধিক নথিপত্র। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে উঠা অর্থপাচারের সঙ্গে পূর্ণিমার আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, থাকলেও তা কোন পর্যায়ের, পূর্ণিমার নাগরিকত্ব- মূলত এসবই খতিয়ে দেখতে চায় ইডির কর্মকর্তারা। আগামী ৬ জুলাই তাকে ফের ইডির দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে পূর্ণিমাকে। অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলায় ইডির কর্মকর্তাদের মুখোমুখি হয়েছেন পিকে হালদারের আরেক সহযোগী সুকুমার মৃধার বড় মেয়ে অতসী মৃধা এবং তার স্বামী সঞ্জীব হাওলাদারকেও। গত সপ্তাহেই তাদেরও পৃথকভাবে জেরা করে ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম