ঢাকা ২০ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৬০১ হাজি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮ সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এশিয়া কাপ আর্চারিতে সোনা জিতলেন বাংলাদেশের আলিফ পরমাণু ইস্যুতে ‘রেড লাইন’ স্পষ্ট করল ইরান সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ৫ আগস্ট সরকারি ছুটির ঘোষণা আসছে ২৫৩ জনের গুমের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন প্রবাসীরা ফেরার সময় শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য বাংলাদেশকে দুই প্রকল্পে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিক’

পালংশাকের পুষ্টিগুণ

#

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৭ মে, ২০২৫,  10:49 AM

news image

সবুজ সতেজ পালংশাক যেমন নজর কাড়ে, তেমন পুষ্টিতেও সমৃদ্ধকে করে মানব শরীরকে। নানারকম খাবারে পালংশাকের ব্যবহারও বহুমুখী। আবার এই শাক দিয়ে এককভাবেই বানানো যায় নানা পদ। পালংশাকে আছে নানা পুষ্টিগুণ।

পুষ্টিবিদরা বলেছেন, পালংশাক বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে থাকে লুটেইন, বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন সি। এগুলো সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল থেকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। ফ্রি রেডিকেলের ফলে দেহের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অক্সিডেটিভ চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ক্ষয় পূরণে সহায়তা করে।

পটাসিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে পালংশাক। পটাসিয়াম দেহে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চমাত্রার সোডিয়াম রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। পালংশাক ফোলেইট ও ম্যাগনেসিয়ামেরও ভালো উৎস। এই দুই পুষ্টি উপাদান দেহে নাইট্রিক অক্সাইডয়ের উৎপাদন বাড়ায় যা রক্তচাপ কমানোর অণু তৈরিতে সহায়তা করে।  

মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্যের জন্য পালংশাক সেরা খাবার। পালংশাকের মতো সবুজ শাক প্রতিদিন খাওয়ার ফলে বয়সের কারণে হওয়া জ্ঞানীয় দক্ষতার হ্রাস অনেকটাই কমে যায়। এতে উচ্চমাত্রায় লুটেইন, বিটা ক্যারোটিন, ফোলেইট ও ফিলোকুইনয়ন (ভিটামিন কে’ একটি ধরন) থাকার ফলে মস্তিষ্কের কোষকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।

রক্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে লৌহ যোগায়। পালংশাক লৌহের ভালো উৎস। লৌহ এমন একটি খনিজ যা রক্তের লোহিত কণিকার মূল উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এই কোষগুলো সারা দেহ ও কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে। তাই এগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই ধরনের লৌহ রয়েছে, একটি হল ‘হিম’ যা প্রাণিজ খাবারে পাওয়া যায় এবং অন্যটি হল ‘নন-হিম’ যা উদ্ভিজ্জ খাবার যেমন পালংশাকে পাওয়া যায়। শরীর হিম এবং নন-হিম কোনো ধরনের লৌহ সরাসরি শোষণ করতে পারে না। তবে ভিটামিন সি যোগ করার মাধ্যমে এই শোষণ বাড়ানো যায়।

পালংশাকে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন ও জিয়াক্সান্থিন যা ভিটামিন এ’য়ের সাথে সম্পর্কিত। দুই পুষ্টি উপাদানই চোখকে সূর্যের হাত থেকে রক্ষা করে এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। ফলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে চোখের রোগ যেমন- ‘ম্যাককুলার ডিজেনারেইশন’ এবং ছানিসহ নানান সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম