
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৭ জুলাই, ২০২২, 3:10 PM

পদত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার তিনি পদত্যাগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে একটি আনুষ্ঠানিক বার্তা দেবেন। বিবিসির সাংবাদিক ক্রিস ম্যাসন টুইটারে জানান, বরিস জনসন বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। বরিস জনসন জানিয়েছেন নতুন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতে চান। বরিসের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা একের পর এক পদত্যাগ করলেও তিনি তার পদ আঁকড়ে ধরে আছেন। বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন সেই নাদিম জাহাবি মাত্র ৪৮ ঘণ্টা পরেই জনসম্মুখে জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেসও জনসনকে পদত্যাগ করতে বলেন। তবে জনসন তাকে জানান তিনি জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে তার পদে থাকবেন। সান পত্রিকার রাজনৈতিক সম্পাদক হ্যারি কোল বলেন,
জনসন গ্রীষ্মে নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও দুইমাস ক্ষমতায় আছেন। বুধবার (৬ জুলাই) জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের একটি দল ডাউনিং স্ট্রিট অফিসে গিয়ে বরিস জনসনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। গেল বৃহস্পতিবারের ঘটনা। দ্য সান পত্রিকার রাজনৈতিক প্রতিবেদকের চাকরি পাওয়ার চারদিনের মাথায় নোয়া হফম্যান নামের ২৪ বছর বয়সী এক সাংবাদিক রিপোর্ট করেন, কার্লটন প্রাইভেট মেম্বর ক্লাবে এক মাতাল সন্ধ্যা কাটানোর ঘটনায় দলীয় হুইপ থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের এক এমপি। পদত্যাগপত্রে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ক্রিস পিনসার নামের ওই এমপি লিখেছেন, সেদিন তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় মদ পান করেন। যা তার নিজের ও অন্যদের বিব্রতের কারণে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি এখানেই থেমে থাকেনি। পরে তা আরও গুরুতর রূপ নিয়েছে। ক্রিস পিনসারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রাইভেট মেম্বর ক্লাবে দুজন ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি। তাদের অন্তত একজনের কুঁচকিতেও হাত দিয়ে স্পর্শ করেন এই রাজনীতিবিদ। সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, নিজের বাজে আচরণ শনাক্ত করতে পেরেছেন ক্রিস পিনসার। তবে এমপি হিসেবে তিনি স্বপদে থাকবেন। তার বিরুদ্ধে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না। এ ঘটনায় কনজারভেটিভ এমপিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অতীতেও পিনসারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কিন্তু দলীয় ডেপুটি চিফ হুইপ পদে তাকে বহাল রাখেন বরিস জনসন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ঘটনা জানতেন কি না কিংবা তিনি কখন জানতে পারেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। বেশ কয়েকদিন ধরে বরিস জনসনের মুখপাত্র বলে আসছেন, ডেপুটি চিফ হুইপ নিয়োগ দেয়ার সময় পিনসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী।