
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৬ জুন, ২০২২, 10:07 AM

ন্যাটোর অস্ত্রাগার ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনে ন্যাটোর একটি অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। বুধবার (১৫ জুন) এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ করে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে ন্যাটোর ওই অস্ত্রভাণ্ডার রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। এদিকে সেভেরোদনেৎস্কে লড়াইরত ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে নিজেদের অবস্থান আরও জোরদার করছে রাশিয়া। সেভেরোদোনেৎস্কের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে রুশ বাহিনী। আজত রাসায়নিক কারখানায় অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় সেনাদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। লুহানস্কের গভর্নরের দাবি, সেভেরোদনেৎস্কে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছেন। অব্যাহত গোলাবর্ষণে তারা বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের অনেকেই আজত রাসায়নিক কারখানার নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে খাদ্য ও পানি সরবরাহ কমে এসেছে এবং স্যানিটেশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই সেখানে। এতে করে রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি এ অবস্থায় বলেছেন, প্রতিদিন তিনি অস্ত্রের জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। তিনি বলছেন, বিশ্ব দেখছে আমরা কীভাবে দেশ রক্ষা করছি। আমাদের সেনাদের কাছ থেকে শেখা উচিত কীভাবে লড়াই করতে হয়। তবে আমাকে প্রতিদিন ভাবতে হচ্ছে অস্ত্রের স্বল্পতা নিয়ে। এ অবস্থায় ইউক্রেনকে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পশ্চিমাদের একসঙ্গে মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছে চীন ও রাশিয়া। বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তিনি বলেন, মস্কোর ‘সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা’ রক্ষায় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সতর্ক করে বলেছেন, আগামী দু'এক বছরের মধ্যে বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইউক্রেনের অস্তিত্ব মুছে যেতে পারে।