
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 3:26 PM

ছাত্র সমাজের অত্যন্ত প্রিয় মুখ
ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্র, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিক। পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত অনিক। তিনি তার মেধা মনন দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ। আর ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রলীগের দুই কর্ণধার গিয়াস উদ্দিন আল সোহাগ ও এহসান আরাফ অনিক। ছাত্র সমাজের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মুখ। বিশেষ করে বলতেই হয় সাধারণ সম্পাদক এহসান আরাফ অনিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠনের একজন আদর্শবান কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক বঙ্গবন্ধুকন্যা, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ রাখতে তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন, আমি নিজে পাঠ করি এবং আমার সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাঠ করতে আহ্বান জানিয়ে আসছি এবং স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই গ্রন্থসমূহ বিতরণ করেছি। তিনি আরও বলেন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হলে অনেক পড়াশোনা করতে হয়। কারণ এই সংগঠনের একমাত্র অভিভাবক বিদ্যানন্দিনী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের হাতে বই, খাতা ও কলম তুলে দিয়েছেন। এই সংগঠনে কেউ অপরাধ করে রেহায় পায় না।ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। উপ-মহাদেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক গুণাবলী, সততা, আদর্শ, দেশপ্রেম, নেতৃত্বগুণ নিজের মধ্যে ধারণ করে ছাত্র সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা ও বিভিন্ন ঘোষিত প্রোগ্রাম সফল করতে এহসান আরাফ অনিকের ভূমিকা অতুলনীয়। ঢাকা-৩ আসনের এমপি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ এর নির্দেশনায় করোনা অতিমারীর সময়ে তিনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, মাস্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হন। এছাড়াও তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গরীব-দু:খী অসহায় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। দুর্যোগ দুর্বিপাকে ছাত্রলীগ সবার পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস বহু যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এহসান আরাফ অনিক করোনা মহামারীর মধ্যে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মানবিকতার এ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বভার গ্রহণকাল থেকে আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের নেতিবাচক কথাবার্তা কিংবা খবর প্রকাশিত হয়নি। কারণ তিনি সবসময় সততার সাথে দায়িত্বপালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে মানুষ ভূল-ত্রুটির উর্দ্ধে নয়। এহসান আরাফ অনিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতো বড় একটি সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হয়তো সবার মন জয় করাটাও আদৌ সম্ভব নয়। তারপরেও তিনি তার সমহিমায় ভাস্বর। একজন ছাত্রনেতার যা যা গুণ থাকা প্রয়োজন তার অধিকাংশই অনিকের মধ্যে বিদ্ধমান রয়েছে। ছাত্র রাজনীতির এতো নেতিবাচক খবরের মাঝেও অনিক সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একজন ছাত্রনেতা।