ঢাকা ২২ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
গলে ড্র দিয়ে টেস্টের নতুন চক্র শুরু করল বাংলাদেশ নোয়াখালী মানব কল্যাণ পরিষদ, ইন ফ্রান্স-এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২০২৫ একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ ইরানে হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ৪৩০ : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনের পরিচয় মিলেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ. লীগকে নিষিদ্ধ করিনি, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা ছাগলনাইয়ায় সেফটিক ট্যাংক থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

চোখে দিয়ে দেখতে পান প্রকৃতির ১০ কোটি রং!

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২,  10:34 AM

news image

নাম তার কনসেটা অ্যান্টিকো। বসবাস করেন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান দিয়েগো শহরে। ছোটবেলা থেকেই রংয়ের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল তার। কেননা, নিজের চোখ দিয়ে তিনি প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা ১০০ মিলিয়ন তথা ১০ কোটি রং চিনতে পারেন। অল্প বয়স থেকেই এর প্রভাব দেখতে পান কনসেটা অ্যান্টিকো। সব কিছুই তার কাছে অনেক রঙে দৃশ্যমান ছিল। সেই রংয়ের সাহায্যে ক্যানভাসে আঁকতেনও তিনি। একটি গবেষণার পর তিনি তার বিশেষ চোখের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। বিশ্বে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ আছেন যারা বিশেষ চোখের অধিকারি।

আসলে কনসেটার চোখ টেট্রাক্রোমেট। সাধারণ ভাষায়, তার চোখে ৩টির পরিবর্তে ৪টি কোণ রয়েছে। চোখের এক কোণে এক কোটিরও বেশি রং চিনতে পারেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে চার-কোণ টেট্রাক্রোমেট চোখের ১০০ মিলিয়ন রং চেনার ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ চোখের কারণে কনসেটা সব কিছুর আসল রং দেখতে শুরু করেন। সাধারণ মানুষ এত রং দেখতে না পারলেও টেট্রাক্রোমেট চোখ দিয়ে অনেকে সেটা দেখতে পারেন। পড়াশোনা শেষ করে সান দিয়েগোতে চলে আসেন তিনি। ২০১২ সালের পর টেট্রাক্রোমেট চোখ নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছিল। সেই গবেষণা দেখায়, এই জাতীয় চোখ যাদের রয়েছে তাদের সন্তানের মধ্যে বর্ণান্ধতার ঝুঁকি থাকে। এর কিছুদিন আগে অ্যান্টিকোর মেয়ের মধ্যে বর্ণান্ধতা ধরা পড়ে। এই গবেষণা থেকে তিনি তার বিশেষ চোখ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। অ্যান্টিকো এখন বর্ণান্ধতার সঙ্গে লড়াই করা লোকেদের সাহায্য করছেন। মানুষের টেট্রাক্রোমেট চোখ সম্পর্কে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কিম্বারলি জেমসন বলেছেন, ১৫ শতাংশ নারীদের মধ্যে বিশেষ ধরনের জিন থাকে, যা এই ধরনের চোখের জন্য দায়ী। এই ধরনের চোখ শুধুমাত্র নারীদের মধ্যে পাওয়া যায়, পুরুষদের মধ্যে নয়। কারণ এই জিন এক্স ক্রোমোজোমকে প্রভাবিত করে। জিনের মিউটেশনের কারণে চোখে চতুর্থ শঙ্কু তৈরি হয়। এই ধরনের মানুষ বিশেষ জেনেটিক্স নিয়ে জন্মান। সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য গার্ডিয়ান

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম