
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ নভেম্বর, ২০২২, 2:21 PM

গাজীপুরে তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার শামীম টেক্সটাইল মিলের তুলার গুদামের আগুন সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেনি। আগুনে পুড়ে গেছে বিপুল পরিমাণ তুলা ও মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের ৫ট ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আগুন লাগে।গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় সামিন টেক্সটাইল কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। পরে আগুনের ব্যাপকতার কারণে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। গাজীপুর, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিটের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তুলার গুদাম হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে সময় বেশি লাগছে। আগুনে বিপুল পরিমাণ তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। কারখানার শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সরকারের নির্দেশনায় কারখানা ছুটি থাকে। সোমবার দিনে শ্রমিকরা তুলার গুদামসহ কারখানার বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করলেও রাতে গুদামটির গেট তালাবদ্ধ ছিল। হঠাৎ রাত ১২টার দিকে গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার সহকারী হিসাব রক্ষক দেবাশীষ দত্ত জানান, কারখানার গুদামটি ২৫ হাজার স্কয়ার ফিট। এখানে ৬শ টন তুলা মজুদ ছিল। গুদামটিতে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলা যাচ্ছে না। সামিন টেক্সটাইল মিলের পরিচালক আবুল খায়ের মানিক বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে, কিন্তু এখনো নিয়ন্ত্রণে আসে নাই। প্রাথমিক ভাবে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি। পূর্ণাঙ্গ হিসাব করলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।