ঢাকা ২৪ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
ঝালকাঠি-২ আসনে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির ১০ সদস্য নিহত ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে কলারোয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা যশোরে বাসচাপায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে স্কাউটরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে: প্রধান উপদেষ্টা লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইরানের ৬ বিমানবন্দরে হামলা, ১৫ উড়োজাহাজ–হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের দফায় দফায় হামলা, ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণ বরগুনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিধান নিয়ে রুলের শুনানি ৭ জুলাই

ক্রাইম পেট্রোল দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করে স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী

#

২৯ এপ্রিল, ২০২৪,  10:55 AM

news image

ওবায়দুর রহমান লিটনঃ আশুলিয়ায় পরকিয়ার সন্দেহে পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রী আনজু খাতুনকে হত্যা করে বাশঁবাগানে ফেলে রেখে যায় স্বামী মোঃ ফিরোজ ওরফে লাল মিয়া। ভারতের টিভি সিরিজ ক্রাইম পেট্রোল ও সিআইডি দেখে এই হত্যার পরিকল্পনা রপ্ত করে নিহতের স্বামী ফিরোজ। তবে স্ত্রীর লাশ দেখতে এসে গ্রেপ্তার হোন তিনি। রোববার (২৮এপ্রিল ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আশুলিয়া থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার বিস্তারিত জানায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি।  গ্রেপ্তার ফিরোজ মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার রৌহা গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের ছেলে। ফিরোজ কাশিমপুর বাগবাড়িতে হাবিবের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী আনজুকে নিয়ে বসবাস করতো ফিরোজ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে কাঠগড়া নয়াপাড়া একটি বাঁশবাগানের ভেতর থেকে ক্ষতবিক্ষত এক অজ্ঞাত নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ নিহতের পরিচয় সনাক্ত করে এবং এ ঘটনার পর থেকে আসামী চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার জন্য তদন্ত শুরু করে। সেই প্রেক্ষিতে সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার কথা স্বীকার করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আনজু খাতুন পরকিয়া করছেন এমন সন্দেহ থেকে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এজন্য ঘটনার দিন ২৫ এপ্রিল ফিরোজের ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম মানিকগঞ্জের নিজ বাড়িতে রেখে আসে এবং নতুন সিম ও মোবাইল কিনে আশুলিয়ায় স্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসে সে। পরে আনজু খাতুনের কর্মস্থল ছুটি হলে তাকে নির্জন বাঁশবাগানে নিয়ে প্রথমে প্লাস দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আনজু খাতুন অচেতন হয়ে পরলে চোখ উপড়ে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।  এ প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ, ওসি তদন্ত মাসুদুর রহমান ও ওসি ইন্টেলিজেন্ট মিজানুর রহমান।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম