
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ এপ্রিল, ২০২৫, 2:55 PM

কানাডায় লিবারেলের জয়, প্রধানমন্ত্রী হয়েই ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি কার্নির
কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোট প্রদানের পর ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল জানা গেছে। খবর আল জাজিরার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি এবং বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ভাগ্যের একটি অত্যাশ্চর্য পরিবর্তনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় কানাডার এই নির্বাচন। তাই দেশটির শীর্ষ নেতাকে অবশ্যই মার্কিন শুল্ক এবং জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় মোকাবেলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কার্নি। মার্ক কার্নি একজন অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাংকার, যিনি ট্রাম্পের হুমকির মুখে কানাডার জন্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। নির্বাচনের ফলাফলকে তিনি ‘কানাডাকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার’ সুযোগ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্নি তার বিজয়ী ভাষণে বলেছেন, ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রভাগে থাকতে না চায়, তবে কানাডা থাকবে। আমরা আমাদের নিজের বাড়িতে মাস্টার। আমরা লক্ষ লক্ষ আবাসন ইউনিট তৈরি করব। আমরা একটি শক্তির সুপারপাওয়ার হয়ে উঠব। আমরা ব্যবসায় এবং একটি অর্থনীতিতে ভাল ও দক্ষ ক্যারিয়ার সরবরাহ করব।’ কার্নি ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘কানাডিয়ানদের অবশ্যই ট্রাম্পের সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জমি, আমাদের সম্পদ, আমাদের জল, আমাদের দেশ চায়। এগুলো নিষ্ক্রিয় হুমকি নয়। ট্রাম্প আমাদের ভাঙার চেষ্টা করছেন যাতে আমেরিকা আমাদের মালিক হতে পারে; এটি কখনই হবে না, এটি কখনই হবে না।’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের পুরোনো সম্পর্ক, কিন্তু এখন সেই সম্পর্ক শেষ হয়েছে। আমরা শেষ হয়ে গেছি। আমরা আমেরিকান বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি, কিন্তু আমাদের কখনই শিক্ষা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’ জয়ের দিনে লিবারেল পার্টি সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে তাদের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে কানাডাকে শক্তিশালী করে গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। পোস্টে একটি ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে, যেখানে মার্ক কার্নির ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনাদের প্রধানমন্ত্রী, মার্ক কার্নি।’