ঢাকা ২৩ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
রংপুর মেডিক্যাল থেকে ৫ দালালকে আটক করেছে পুলিশ ৩১ দফা বাস্তবায়নে সোনারগাঁওয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশে গণসংযোগ লিফলেট বিতরণ হজে ৩৮ বাংলাদেশির মৃত্যু, দেশে ফিরেছেন প্রায় ৪৩ হাজার হাজি ১৮ দিনে এলো ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ অবশেষে শক্তিশালী সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাল ইরান উপদেষ্টা পরিষদে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন কালো টাকা সাদা করা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা

কাত্তরের মানবতা বিরোধী পলাতক আসামি সাভার থেকে আটক

#

নিজস্ব প্রতিনিধি

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  3:49 PM

news image

ফয়জুল ইসলামঃ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মৃত্যুন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক মানবতাবিরোধী অপরাধী খলিলুর রহমানকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে র‍্যাব। আজ বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এসপি) আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান। ইমরান খান জানান, ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর ৯ নং মামলায় অভিযোগপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ সালে মো. খলিলুর রহমানসহ তাঁর ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই এলাকার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও ইউনিয়নের কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ এবং একই এলাকার রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ধবংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পাঁচজন আসামির মধ্যে মো. খলিলুর রহমান ছাড়া সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিচারকালীন সময় চারজন আসামি বিভিন্ন সময় মৃত্যুবরণ করে। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে চারটি অভিযোগের মৃত্যুদন্ড ও একটিতে দশ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১৪ সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. খলিলুর রহমান (৬৮) কে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। ইমরান আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে আত্মগোপনে চলে যায়। রাজধানীর দক্ষিনখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে। আত্মগোপনে থাকাকালীন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে সে নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করত ও একাকী অবস্থান করত। এসময় যোগাযোগের জন্য সে কোন ধরণের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। কিন্তু মাঝে মাঝে তার পরিবারের সদস্যরা গোপনে তার সঙ্গে দেখা করত। তার ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য তারা নিয়মিত অর্থ প্রদান করত। মামলার রায় ঘোষণার পর সে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তার অবস্থান নিরাপদ নয় ভেবে স্থান পরিবর্তন করে সাভারে আত্মগোপন করে। গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান ১৯৫৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নের আল বদর বাহিনীতে কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধবংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জরিত ছিল। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম