ঢাকা ২৬ জুন, ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম
১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সুপারিশ মেনে নিচ্ছে বিএনপি মব জাস্টিস' নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে: তারেক রহমান বাংলাদেশে পাচারের জন্যই ফেনসিডিল তৈরি করে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইশরাক সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার বিএনপি মব সংস্কৃতির বিপক্ষে: ফারুক চুল পড়া ও মানসিক উদ্বেগ কমায় কাঁঠালের বীজ তদন্ত কমিশনে ই-মেইল পাঠিয়ে সাক্ষ্য দিলেন নানক-আজম ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিক না থাকায় জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে: ড. ইউনূস

ইরান: হিজাব-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ, নিহত ৯

#

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  11:05 AM

news image

ইরানে পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পর হিজাব এবং নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত নয়জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশও রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির অন্তত ১৫টি শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, বিক্ষোভকারীদের পুলিশকে ধাওয়া করা, গুলির শব্দ এবং মেয়েদের হিজাবে আগুন লাগানো দৃশ্য দেখা গেছে। দেশটির নারীরা ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভে একেবারে সামনের কাতারে রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই বিক্ষোভের টানা পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার যখন নারীরা সারি শহরে আগুন দিয়ে তাদের হিজাব জ্বালিয়ে দেন তখন সেখানে উপস্থিত জনতা উল্লাস করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, উরমিয়া, পিরানশাহর এবং কেরমানশাহে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত তিন বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। ইরানি কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কেরমানশাহে দু'জন বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি শিরাজে একজন পুলিশ সহকারীকে হত্যার অভিযোগ করেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাকেজ থেকে আসা ২২-বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহসা আমিনি কোমায় তিন দিন কাটানোর পর শুক্রবার হাসপাতালে মারা যান। তেহরানে তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকার সময় ইরানের কঠোর নৈতিকতা বিষয়ক পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা আমিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, তিনি নারীদের হিজাব বা চাদর দিয়ে চুল ঢেকে রাখা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি কোমায় চলে যান। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেছেন, পুলিশ আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে এবং তাদের একটি গাড়ির সঙ্গে আঘাত করার পর তার মাথা ফেটে যায়।  তবে পুলিশ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, হঠাৎ করে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে তার পরিবার বলেছে, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন। মাহসা আমিনির মর্মান্তিক মৃত্যু এবং নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগগুলি অবশ্যই একটি স্বাধীন ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবিলম্বে, নিরপেক্ষভাবে এবং কার্যকরভাবে তদন্ত করা উচিত এবং নিশ্চিত করতে হবে তার পরিবার সত্য ঘটনা জানতে পারবে এবং তারা ন্যায়বিচার পাবে, - বলছেন নাশিফ। তিনি উল্লেখ করেন জাতিসংঘ নারীদের প্রতি সহিংস আচরণের অসংখ্য এবং যাচাইকৃত ভিডিও পেয়েছে কারণ নৈতিকতা পুলিশ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ঢিলেঢালা হিজাব পরা মহিলাদের দমন করতে রাস্তায় টহল বাড়িয়েছে। 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একজন সহযোগী সোমবার আমিনির পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের বলেছেন যে যেসব প্রতিষ্ঠান অধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। ইরানের একজন সিনিয়র এমপি জালাল রশিদি কুচি প্রকাশ্যে নৈতিকতা পুলিশের সমালোচনা করে বলেছেন, এ বাহিনী তৈরি একটি 'ভুল' কাজ, কারণ এটি ইরানের জন্য শুধু ক্ষতিই বয়ে এনেছে। 

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. নজরুল ইসলাম