
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ মে, ২০২৪, 2:04 PM

আফগানিস্তানে বন্যা, নিহত ছাড়িয়েছে ৩০০
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘ ও তালেবানের কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, বন্যার কারণে এক হাজারেরও বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট অসংখ্য বন্যার অন্যতম। তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও বার্তায় জানান, শুক্রবারের দুর্যোগে বাঘলান প্রদেশের শুধু নাহরিন জেলাতেই অন্তত ১৫০ জন মারা গেছেন। কর্মকর্তা গোলাম রসুল কানি জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করতে এ এলাকায় সামরিক হেলিকপ্টার অংশ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। তালেবান কর্তৃপক্ষ জানায়, বাঘলানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে উদ্ধারকর্মীরা ত্রাণ নিয়ে এসেছেন। আর ডব্লিউএফপি বলছে, যারা এখনো বেঁচে আছেন, তাদের কাছে তারা বাড়তি পুষ্টিযুক্ত বিস্কিট সরবরাহ করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় এক দিনে অন্তত ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যায় অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। শুধু বাঘলানেই ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি আজ শনিবার সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে আইওএম’র জরুরি প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ ফাহিম সাফি বলেন, ‘বাঘলানি জাদিদ জেলায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।’ তবে আজ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঘলানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রাদেশিক পরিচালক হেদায়াতুল্লাহ হামদর্দ এএফপিকে বলেন, মৃতের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এখনো অনেক লোক নিখোঁজ হওয়ায় এই সংখ্যা বাড়তে পারে। বন্যার কারণে কিছু জেলায় সম্পত্তি ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হামদর্দ বলেন, জরুরি পরিষেবার কর্মীরা কাদামাটি এবং ধ্বংসস্তূপের তলায় থাকা ব্যক্তিদের খোঁজে জাতীয় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় কাজ করছে। রাজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক তালেবানের মুখপাত্র আবদুল্লাহ জনান সাইক বলেন, রাজধানী কাবুল ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। খাদ্য, তাঁবু, কম্বল ও অন্যান্য সাহায্যে নিয়ে উদ্ধারকারী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রওনা দিয়েছে।