
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৫ এপ্রিল, ২০২৩, 11:50 AM
আগুনের কারণ অনুসন্ধানে বঙ্গবাজারে সিআইডি
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া-সংলগ্ন বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে সিআইডি। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় সিআইডির এসএসপি (ডিএমপি সাউথ) আনিসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কোনো কারণ জানতে পারিনি। তিনি জানান, যেকোন ধরনের বড় ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আমরা মাঠে থাকি। নগদ টাকা, টালি খাতাও বাঁচানো গেল না এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে মঙ্গলবার ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পুনর্বাসন অনিশ্চয়তা, আগুন আতঙ্কে ছিল ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কাজ করেছেন। বিমানবাহিনীর দুটি বেল-২১২ ও দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার পর্যবেক্ষণ মিশনও আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার সেখানে দায়িত্ব পালন করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চোখের সামনে ছাই হাজারো স্বপ্ন আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ নিয়ে কোনো সংস্থা স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। তদন্ত শেষে তাঁরা এ ব্যাপারে মত দেবেন। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর দাবি, বঙ্গবাজারের ১০ ফুট গলি থেকে আগুনের সূত্রপাত। ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ভেতর চারটি মার্কেট। সেগুলো হলো– বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট। কাঠ ও টিনের তৈরি এই মার্কেটগুলো তিনতলার। সেখানে তিন হাজারের মতো দোকান আছে। এর সবকটি পুড়ে গেছে। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স লাগোয়া সাততলা এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন লাগে। এর দক্ষিণ পাশে আছে মহানগর কমপ্লেক্স। দোতলার এই মার্কেটটি টিনের। ওই মার্কেটও ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া বঙ্গবাজারের উল্টোপাশে চারতলা বঙ্গ ইসলামিয়া ও সাততলা বরিশাল প্লাজা নামে আরও দুটি মার্কেটের একাধিক তলায় আগুন ছড়ায়। সব মিলিয়ে আট মার্কেটের পাঁচ হাজারের বেশি দোকান ও গুদাম ভস্মীভূত হয়।