
NL24 News
২৭ অক্টোবর, ২০২২, 2:41 PM

আগাম সবজি বিক্রী করে অধিক লাভবান মানিকগঞ্জের কৃষকরা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি প্রধান এলাকা মানিকগঞ্জ সারা দেশব্যাপি এখানকার শাকসবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় এখানকার শাকসবজি একটু দেরিতে রোপন করা হয়। আগাম সবজির ভাল দাম থেকে বঞ্চিত হয় এই এলাকার কৃষকরা। তবে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বর্ষা না হওয়ায় বেশিরভাগ জমিতে পানি উঠেনি আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চাষিরা আগাম সবজি চাষ করে ভাল দাম পাচ্ছেন। যতগুলি এলাকায় সবজি চাষ হয় তার মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের চর হিজলাইন এলাকা অন্যতম। জমিতে পানি না উঠায় আগাম সবজি উৎপাদন করে অধিক লাভবান হচ্ছেন তারা। বাজারে চাহিদা থাকার কারনে ইতি মধ্যে শসা, পটল, করল্লা, পেপে সহ বিভিন্ন সবজি ভাল দামে বিক্রী করছেন কৃষকরা। চর হিজলাইন এলাকার ইসমাইল হোসেন,হাবিবুর রহমান,জুয়েল রানা বলেন বাব দাদার আমল থেকে আমরা কৃষি কাজ করি।
নদী বেষ্টিত এলাকার মাটি খুব উর্বর। সকল প্রকার শাক সবজি উৎপাদন হয় এখানে। এবার জমিতে বর্ষার পানি না উঠায় আগাম সবজি উৎপাদন ও বিক্রী করে আরো বেশী লাভ হয়েছে। এ ছাড়া তুলনামুলক একটু নিচু জমিতে লাউ,শিম,টমেটো,বেগুন সহ নানাবিধ সবজি চাষ করা হচ্ছে। এগুলিও মাস খানেকের মধ্যে উত্তোলন করা হবে। তারা আরোও জানান এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করতে খরচ হয় বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা।আর বিক্রিী হয় সাধারণত সত্তুর পঁচাত্তুর হাজার টাকা। এরকম দাম থাকলে এবার বিক্রী আশি হাজার টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে নদীতে ব্রীজ না থাকার কারনে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রী করতে পরিবহণ খরচ বেশী হয়। তাই লাভের একটি বড় অংশ খরচ হয় পরিবহনে। এলাকার চর্তুদিকেই নদী। নদীতে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পেতো। নদী দ্বারা বেষ্টিত এলাকার লোকজনের দাবী নদীতে একটি ব্রীজ নির্মানের। খেয়া পার হওয়ার কারনে শস্যে রোগ বালাই দেখা দিলেও কৃষি কর্মকর্তারা দেখতে আসেন না বলে অভিযোগ করেন চাষীরা। বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসমত আলী বলেন এই এলাকাটির চর্তদিকেই নদী এখানকার লোকজন কৃষির উপর নির্ভলশীল। কিছু অসাধু লোকজন ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার কারনে প্রতিবছর ভাঙ্গনের মধ্যে পরে। নদীতে একটি ছোট সেতু হলেই উৎপাদিত পণ্য তারা সঠিক দামে বিক্রী করতে পারতো। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায় তাদের পরামর্শে কৃষকরা আগাম বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ করে সফলতা এবং ভাল দাম পাচ্ছেন। জমিতে বর্ষার পানি না উঠায় তারা একাধিক বার ফসল উৎপাদন করার সুযোগ পেয়েছে।